কলকাতা শহরে, প্রথম সারির হাসপাতাল আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা এবং তার পর প্রতিবাদের ঢেউ আলোড়িত করেছে জনমানসকে। স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের রাতে, তাই মেয়েরা রাত দখল করলেন। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, হিমালয় থেকে সাগর— রাতের পথ চলে গেল মেয়েদের দখলে। সেই ভিড়ে হয়তো কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হয়েও রয়ে গিয়েছেন পুরুষেরাও।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে মধ্যরাত দখলের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল স্বাধীনতার সেই রাতকেই। বাস্তবে দেখা গেল, কর্মসূচির জন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই বেশির ভাগ পয়েন্টে শুরু হয়ে গেল মেয়েদের ‘অহিংস-দখলদারি’। স্বাধীনতার সেই মহার্ঘ পলকটিকে মনে করিয়েই রাতের রাজপথের দখল নিলেন মেয়েরা। কলেজ স্ক্যোয়ারে ভিড় ছিল প্রতিবাদীদের। ছিল সহস্রকণ্ঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস!’-এর উদাত্ত উচ্চারণ। ছিলেন মেয়ের কথা ভেবে আনমনা বাবা, নাতনির আশঙ্কা নিয়ে সুবিচার চাইতে আসা ঠাকুমারাও। সুবিচার দাবি করার এই সংগ্রামে আর ছিলেন রাতের দখল নেওয়া আট থেকে আশি, মেয়েরা। যা জন্ম দিল বাংলা জুড়ে মেয়েদের প্রকৃত স্বাধীনতার এক অভূতপূর্ব ছবি।