ডোনাল্ড ট্রাম্প। মসনদে ফেরার পরেই ‘কী হয়-কী হয়’ প্রশ্ন আর জল্পনা। শপথ নেননি তাই পরিষ্কার নয় ট্রাম্পের বিদেশ নীতি। কিন্তু প্রশ্ন হল, গাজ়া, ইউক্রেনে যুদ্ধ কি এ বার বন্ধ হবে? চিনের প্রতি গরমাগরম কৌশল রেখে কি ভারতকে ‘নরমপাকের সন্দেশ’ পাঠাতে পারে আমেরিকা? মোটর উপর ট্রাম্পের বিদেশনীতিকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। নেটোকে এক তরফা ভাবে সহায়তা দেয় আমেরিকা। ইওরোপ নামেই আছে। আমেরিকার ঘাড়ে দায়িত্ব চাপিয়েই খালাস! এ কথা খোদ ট্রাম্পের। যে কথা নেটোর পক্ষে ভাল বিজ্ঞাপন নয়। কপালে ভাঁজ পড়তে পারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কিরও। এখনই যুদ্ধ শেষ করতে পারলে বেঁচে যান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এই পরিস্থিতিতে পুতিনকে যুদ্ধ শেষ করার সুযোগ কি দেবেন ট্রাম্প?
প্রতিরক্ষা খাতে আরও অর্থব্যয়। নেটোর অংশীদার রাষ্ট্রগুলিকে ট্রাম্পের এ বার্তা দীর্ঘদিনের। পোল্যান্ড ছাড়া কেউ সাড়া দেয়নি। ট্রাম্প তা নিয়ে বিরক্ত। আগেও নেটো ছেড়ে বেরনোর হুমকি দেন ট্রাম্প। কিন্তু এই দফায় সত্যিই কি তা করবেন? আমেরিকায় জনশ্রুতি, ‘ডন ক্যান ডু এনিথিং’, বাংলায় তর্জমা করলে, ডনের পক্ষে সবই সম্ভব।
ইজ়রায়েল ট্রাম্পের ঠিক যতটা কাছের, ইরানের সঙ্গে দূরত্বও ততটাই। তাই ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন নেতানিয়াহুর কাছে সুসংবাদ হলেও, তেহরানের কাছে উল্টো। ২০১৭ সাল। ট্রাম্পের আমলে তেহরান নিয়ে আমেরিকার যা নীতি ছিল, জো বাইডেনের হাতে তার কোনও বদল হয়নি। ফলে, ট্রাম্প ফেরত আসায় দৃষ্টিভঙ্গী বদলের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
চিনের নাম শুনলেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন ট্রাম্প। হুঁশিয়ারির দেন, জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ঢুকেই চিন থেকে আসা পণ্যে ৬০ শতাংশ মাসুল। তা হলে নতুন মাসুল-যুদ্ধ যে শুরু হবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তাইওয়ানকে নিয়েও চিনকে চাপে রাখতে চায় আমেরিকা। এই জোড়া কারণেই ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেছে নিয়েছেন প্রবল চিন-বিরোধী মাইক ওয়াল্টজ়কে। মাইক আবার ঘোষিত ভারত-বন্ধু।