প্রতিবেদন: সৌরভ, চিত্রগ্রহণ: স্নেহাশিস, সম্পাদনা: ঋতুরাজ
২০০৬ সালের মে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শপথ গ্রহণের দিনই রতন টাটার ঘোষণা ছিল, সিঙ্গুরে তৈরি হবে ন্যানো কারখানা। সেই মতো কাজও শুরু হয়েছিল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাছোড়বান্দা জমি আন্দোলনের কাছে শেষ পর্যন্ত মাথা নোয়াতে হয়েছিল বাম সরকারকে। ২০০৮ সালেই স্বপ্নকে বাক্সবন্দি করে ফিরে গিয়েছিল টাটাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, সিপিএম অন্যায্যভাবে কৃষকের জমি কেড়ে নিয়েছে। যদিও সিপিএম বরাবরই দাবি করে এসেছে, টাটার চলে যাওয়ার পিছনে আসলে দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
সেই ঘটনার এক যুগ পর মমতার মুখে ফের টাটা প্রসঙ্গ। অভিযোগ যে শুধু অস্বীকার করলেন তাই নয়, বরং সিঙ্গুর থেকে টাটা চলে যাওয়ার জন্য মমতা দায়ী করলেন সিপিএমকেই। শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘সিঙ্গুর থেকে টাটাকে আমি তাড়াইনি। তাড়িয়েছে সিপিএম।’ টাটাকে সিঙ্গুরে কারখানা না করতে দেওয়ার প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘রতন টাটা বলেছিলেন মাথায় বন্দুক ঠেকানো হয়েছিল, কার কথা বলেছিলেন তিনি! বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রাজ্যপালের মধ্যস্থতায় আলোচনায় পর্যন্ত বসলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত করতে দিলেন না।’’