প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: বিজন
রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বার করা হয়। প্রথমে লাগোয়া বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের ওপিডি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। হুইলচেয়ারে বসিয়ে যখন মুখ্যমন্ত্রীকে ওয়ার্ডের বাইরে বার করে হচ্ছে, তখন তিনি খানিকটা আচ্ছন্ন অবস্থায়। কিছু ক্ষণ বাদেই অবশ্য তিনি সেই হুইলচেয়ারে চেপেই নিউরোসায়েন্সের ওপিডি থেকে বার হন। অভিষেক এবং কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের গাড়ির সামনের আসনে বসে বাড়ির দিকে রওনা দেন তিনি। হাসপাতাল ছাড়ার আগে গাড়িতে বসেই দলের মুখপাত্র শান্তনু সেন এবং অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। গাড়ি থেকেই বাইরে তাক করে থাকা সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার দিকে হাত জোড় করে নমস্কার করতে দেখা যায় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কপালে তিনটি এবং নাকে একটি সেলাই পড়েছে। বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে তাঁর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতাল ছাড়ার খানিক ক্ষণের মধ্যেই সেখানে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে চিকিৎসকেরা আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্য়মন্ত্রীর চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে, চিন্তার কোনও কারণ নেই।”
তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে নিজের বাসভবনে হাঁটতে গিয়ে পড়ে যান মমতা। তাঁর কপালে চোট লাগে। কপাল ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) মুখ্যমন্ত্রীর রক্তাক্ত অবস্থার ছবি পোস্ট করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কী ভাবে মমতা পড়ে গেলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।