প্রতিবেদন: তীর্থঙ্কর, সম্পাদনা: শুভাশিস
শুক্রবার, ১০ মার্চ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয় সরকারি কর্মীদের সংগঠনের জোট সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সামিল হন জেলা থেকে কলকাতার বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মচারীরা। সংগ্রামী যৌথমঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান তাঁদের দাবিদাওয়া না মিটলে আগামী দিনে লাগাতার ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। এমনকি দিল্লির যন্তরমন্তরে কিছু দিনের মধ্যেই ধর্না দেওয়ার কথাও ভাবছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সরকারি কর্মীদের এ দিনের ধর্মঘটের রোধ করতে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয় যে কোনও কর্মচারী গরহাজির থাকলে বেতন কাটার পাশাপাশি চাকরিজীবন থেকে একটি দিন বাদ যাবে। নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেয় রাজ্য সরকার। তা সত্ত্বেও আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা নিজেদের কর্মসূচিতে অনড় ছিলেন। শুক্রবারের ধর্মঘট কতটা সফল তা নিয়ে অবশ্য শাসকপন্থী ও বিরোধী সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এ দিন শহীদ মিনারের সামনে সরকারি কর্মীদের অবস্থান মঞ্চে সংহতি জানাতে আসেন আইনজীবী ফেরদৌস শামিম, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্য বিরোধী নেতা এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।