লাহোরের নিয়াজি পাশতুন পরিবারের সন্তান ইমরান খান ক্রিকেটার ও পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসাবে অনেক আন্তর্জাতিক সম্মান এনে দিয়েছেন দেশকে। খেলার মাঠ থেকে অবসর নিয়ে সক্রিয় রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ। ১৯৯৬ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দল গঠন করেন ইমরান। ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে সংসদে বিরোধী আসনে বসে পিটিআই। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন যায় ইমরানের দলের ঝুলিতে, অতঃপর নির্দল সাংসদদের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন। প্রধানমন্ত্রী হলেন ইমরান। সেই নির্বাচনে ইমরানের দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভোট লুঠের অভিযোগ আনে বিরোধীরা, অভিযোগ ওঠে পিটিআইয়ের সঙ্গে পাক সেনার যোগসাজশেরও। পাক রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ইমরানের উত্থানের পিছনে সে দেশের সেনার মদত ছিল। যদিও অচিরেই সেই সমর্থন সরে যাওয়ার ইঙ্গিতও পাওয়া যায়। পাক তালিবানের সঙ্গে ইমরানের সুসম্পর্কের জন্য তাঁকে ‘তালিবান খান’ বলে ডাকাও শুরু হয়। ২০২২-এ গদি হারান ইমরান, শুরু হয় অজস্র মামলা। অবশেষে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ৯ মে গ্রেফতার হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।