প্রতিবেদন: প্রচেতা, চিত্রগ্রহণ: শুভদীপ, সম্পাদনা: বিজন
সুদীপ্ত সেনের ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষেধ করার সিদ্ধান্তেই সংঘাতের শুরু। কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের ‘বিরোধিতা’ করে ছবির উপর নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেছিলেন শুভাপ্রসন্ন। পাল্টা প্রত্যুত্তরে শিল্পীকেও একহাত নিয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পরে সল্টলেকে শুভাপ্রসন্নের বাড়ি গিয়ে চায়ের আড্ডায় কুণাল ঘোষ ‘সমঝোতা’ করে বিতর্কের সমাপতনের চেষ্টা করলেও তা ফলপ্রসু হয়নি। কারণ, শুভাপ্রসন্নকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে একের পর এক মন্তব্য এসেছে তৃণমূলের তরফে। যুব তৃণমূলের নেত্রী সায়নী ঘোষ তো বটেই এমনকি ইদ্রিশ আলির মতো বিধায়কও শুভাপ্রসন্নকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এমতাবস্থায়, শিল্পী নতুন করে বিতর্ক না বাড়ালেও আরও স্পষ্ট করলেন নিজের অবস্থান। ছবি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ভুল, নিজের এই মন্তব্য থেকে সরে আসছেন না শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। নিন্দুকদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, “মমতার কাছে ভাল হতে চেয়ে অনেকে আমাকে গালিগালাজ করেছেন”। তৃণমূলপন্থী ছবি আঁকিয়ের বক্তব্য, “শাসকরা তাদের ভাবমূর্তি নিয়ে সংবেদনশীল, সেটা কালিমালিপ্ত হওয়ার ভয়েই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।।” নিজের মত ব্যক্ত করতে গিয়ে সম্প্রতি বিবিসি নির্মিত তথ্যচিত্রের উদাহরণও দিয়েছেন শুভাপ্রসন্ন। তাঁর কথায়, “বিবিসি কখনও মিথ্যা প্রচার করে না। বিবিসি যা করেছে তা অত্যন্ত সত্য। এতে হয়ত কারও ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিতে বাধা পড়েছে, যাঁর পড়েছে তাঁর থেকেও সপার্ষদদের গায়ে লেগেছে আরও বেশি।”