প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: বিজন
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পরতে পরতে ‘রোমাঞ্চ’ আর ‘নাটকীয়তা’। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি, আবার তাঁর নির্দেশেই বরখাস্ত। ‘বেআইনি’— এই অভিযোগেই এক বছর আগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বরখাস্ত করে সেই চাকরি ববিতা সরকারকে দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যার সুবাদে মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরিও করেন ববিতা। সেই বিচারপতিই মঙ্গলবার ববিতার চাকরি বরখাস্ত করে তা দিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা বিশ্বাস রায়কে। ববিতার বিরুদ্ধেও সেই একই অভিযোগ, তাঁর চাকরি ‘বেআইনি’। শুধু তাই নয়, এ দিন অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত ১৫ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকাও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনামিকার মামলার শুনানিতে আজ হাই কোর্টের রায়, চাকরির হকদার ববিতা নন। নম্বর অনুযায়ী চাকরি পাওয়ার কথা অনামিকা বিশ্বাস রায়েরই। হলও তাই। ববিতাকে ‘ভর্ৎসনা’ করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে নির্দেশ দিলেন, ববিতার জায়গায় নিয়োগ করতে হবে অনামিকাকে। পর্ষদকে ২ সপ্তাহের মধ্যেই এই নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। আদালতের এই রায়কে মেনে নিলেও ববিতার বক্তব্য, “আমার ভুল না কমিশনের ভুল জানি না। যখন চাকরি দিল তখন বলল না, এখন এক বছর চাকরি করার পর এ ভাবে চাকরি কেড়ে নেওয়া মোটেই কাম্য নয়।” অশ্রুসজল ববিতা আগামী দিনে আইনি সহায়তা নেবেন বলেও জানিয়েছেন।