প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর
দিল্লিতে আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের আটক করার প্রতিবাদে পথে নামল কলকাতা। সোমবার শহরের রাজপথে আলাদা আলাদা ভাবে বিক্ষোভ দেখাল এসইউসিআই ও এসএফআই। রাজভবন অভিযান করলেন এসইউসিআই-এর কর্মীরা। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কলেজ স্ট্রিট অবরোধ করলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই সমর্থকেরা। পড়ুয়াদের সম্মিলিত বয়ানে উঠে এল কুস্তিগিরদের আন্দোলনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন। কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক আদর্শের দিকে আঙুল তুলে তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’-এর স্লোগান কি শুধুই ফাঁকা বুলি!
ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে মাসের পর মাস যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসে আছেন পদকজয়ী কুস্তিগিরেরা। দিল্লির চড়া রোদ বা বৃষ্টি— টলাতে পারেনি প্রতিবাদ। অনেক টালবাহানার পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ব্রিজভূষণের নামে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভের ঝাঁজ বাড়াতে রবিবার উদ্বোধনের দিন নতুন সংসদ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগতেরা। কথা ছিল সংসদ ভবনের সামনে ‘মহিলা মহাপঞ্চায়েত’ করার। পথেই আটক করে পুলিশ। টেনেহিঁচড়ে বাসে তোলা হয় দেশের হয়ে সম্মানজয়ী কুস্তিগিরদের। অভিযোগ ওঠে লাঠিচার্জেরও। রাজধানীর রাস্তায় যখন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি, তখন সংসদের ভিতরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ। অন্য দিকে, বন্দি অবস্থায় বাসে বসে চোখে জল নিয়ে বিনেশ বলছেন, “আসল অপরাধীকে সরকারের তরফ থেকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। অন্য দিকে দেশের জন্য পদক আনা ক্রীড়াবিদরা আজ কারাগারে বন্দি। তাঁদের অপরাধ, তাঁরা দেশের মেয়েদের জন্য ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছিলেন।” সাক্ষীর প্রশ্ন, “দেশের জন্য পদক প্রাপ্তি কি কোনও গর্হিত অপরাধ? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে আমাদের ফাঁসির আদেশ দিন।”