প্রতিবেদন: স্রবন্তী, চিত্রগ্রহণ: অতনু ও ঋতুরাজ, সম্পাদনা: ঋতুরাজ ও বিজন
আলিপুর পার্ক রোডে সাবেকী আমলের চার তলা বাড়ি। বাড়ির অন্দর মোহময়। প্রাচ্য আর পাশ্চাত্য সংস্কৃতির মিশেলে সময় যেন থমকে আছে বাড়ির পাঁজরে। জয়দীপ কর এবং রাকা করের আলো ভরা এই বাড়ির প্রাচীন দিনলিপিতে নবীনকে প্রতিষ্ঠা করলেন শিক্ষক শৈবাল বসু। তাঁর ভাবনায় ফুলিয়া থেকে খইয়ে মাড় দেওয়া সাদা জমিতে লাল কালো শঙ্খলতা পাড়ের পাছাপেড়ে শাড়ি। শাড়ি উঠল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার শরীর জুড়ে। এ শাড়ির মধুরিমায় ব্লাউজ যেন সীমা টেনে দেয়। ঋতুপর্ণা তাই বুঝেই খালি গায়ে এই শাড়ি পরে নিলেন। সঙ্গে রূপোর গয়না। ‘মাগ-মিনসে-মাই’-এর মতো ‘পাছা’ শব্দটিও শিক্ষিত বাঙালির সামাজিক উচ্চারণে ব্রাত্য হয়েছে। আর সেই পরিত্যক্ত অস্পৃশ্য শব্দটির জন্যই হারিয়ে গেছে বাংলার নিজস্ব তিনপাড়ের ‘পাছাপেড়ে’ শাড়ি। ফিরিয়ে আনলেন শৈবাল তাঁর সৃজনে।