পুরোপুরি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রাম৷ ভোটারদের সবাই মুসলমান৷ অথচ সেই সংসদ এলাকাকে এ বার তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গ্রামবাসীরা৷ ক্ষুব্ধ শাসকদলের নেতানেত্রীও। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ বার ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। মালদহ ব্লকের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটপুর এবং ছোটপুর ভেস্টপাড়া গ্রামের ঘটনা৷ছোটপুর এবং ছোটপুর ভেস্টপাড়া গ্রাম দু’টিতে আগে ছিল একটিমাত্র বুথ৷ সেই বুথ ভেঙে এ বার দু’টি করা হয়েছে। একটি বুথে মোট ৮৬৭ জন ভোটার। প্রত্যেকেই মুসলমান ধর্মের। অথচ ওই বুথটিই এ বার তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ, নিজের এলাকার কোনও বাসিন্দাই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।কমিশনের এই সিদ্ধান্তে নিয়ে মহম্মদ ওবাইদুল শেখ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘ঘটনাটি জানতে পেরেই আমরা বিডিওর কাছে গিয়েছিলাম৷ তাঁকে বলেছিলাম, এই গ্রামে এক জনও হিন্দু ভোটার নেই। তা হলে আমাদের বুথ তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত হল কী ভাবে? বিডিও জানিয়ে দেন, তাঁর কিছু করার নেই৷ গোটা বিষয়টি জেলাশাসকের অধীনে। তিনি যা করার করবেন। এর পর গ্রামের কয়েকজন জেলাশাসকের কাছেও যান। কিন্তু তিনিও কিছু করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে আমাদের সাফ কথা, এখানে বহিরাগত কোনও প্রার্থীকে মানব না৷ নির্বাচন কমিশন নিজেদের সিদ্ধান্ত না বদলালে আমরা ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।’’গ্রামের আর এক বাসিন্দা সাবির আলি বলেন, ‘‘জীবনে অনেক ভোট দিয়েছি৷ প্রতি বারই গ্রামের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছি। এ বার শুনছি, গ্রামের কেউ নাকি এখানে প্রার্থী হতে পারবে না। কারণ, এই বুথটা তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। যে বুথে একটিও হিন্দু ভোটার নেই, সেই বুথ তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত কী ভাবে হয়?’’ ওই গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য মাসিদুর রহমান নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এখানে পুরনো বুথকে ভেঙে দুটো করা হয়েছে৷ বিষয়টি নজরে আসতেই জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছি। দলের নেতৃত্বকেও জানিয়েছি। কিন্তু প্রত্যেকেই বলছেন, আর কিছু করার নেই। অন্য দিকে, পাড়ার লোক এ বার ভোট দেবে না বলে সিদ্ধান্ত