মোগল ইতিহাসের সঙ্গে পাঠ্যক্রম থেকে বাদ চার্লস ডারউইনের ‘বিবর্তনবাদ তত্ত্ব’ও। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মিছিল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের। মিছিলে সামিল অধ্যাপক থেকে বিজ্ঞানীমহলের একাংশ। এনসিআরটি-র সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থিব বসু বলেন, “ডারউইনবাদ পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হলে এমন একটা প্রজন্ম তৈরি হবে, যারা জীবসৃষ্টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার আলো থেকে বঞ্চিত হবেন। অন্ধকারে থাকার কারণেই তাঁদের মধ্যে অন্ধবিশ্বাস এবং অন্ধবোধ জারিত করা সহজ হবে। ডারউইনকে বাদ দেওয়া আসলে বিজ্ঞান চেতনাকে অস্বীকার করা।” অধ্যাপক বসুর সুরে সুর মিলিয়ে বিজ্ঞানী তপন সাহার বক্তব্য, “বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারকে অস্বীকার করে পৌরাণিক উপাখ্যান চাপিয়ে দিয়ে মানুষের মধ্যে থেকে যুক্তিবাদকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। শুধু ভারতেই নয়, পৃথিবীর বিবর্তন, মানুষের বিবর্তন, জীবের বিবর্তনকে অস্বীকার করার প্রয়াস চলছে সারা বিশ্বেই। পরিবর্তে ধর্মের ভয়কে জাঁকিয়ে দিয়ে মানুষের আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”