সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ কেন্দ্রের হাতে রাখতে শুক্রবার গভীর রাতে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। শনিবার সকাল থেকেই সেই অধ্যাদেশ ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান-উতোর। এই বিষয়ে সব বিরোধী দলকে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন আপ-প্রধান। তার পরেই মঙ্গলবার হঠাৎ কলকাতা সফরে কেজরীওয়াল, সঙ্গে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। নবান্নে বৈঠক শেষে তিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে নিশানা করলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। কেজরীওয়াল বলেন, “আট বছরের লড়াইয়ের পর সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির নাগরিকদের অধিকার দিয়েছিল, আট দিনের মধ্যেই সেই অধিকার ছিনিয়ে নিল কেন্দ্র।” তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও তামিলনাড়ু-সহ বিভিন্ন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজ্যপাল নির্বাচিত সরকারকে ‘বিরক্ত’ করছেন। মানের প্রশ্ন, যদি ৩০-৩১ জন রাজ্যপাল আর প্রধানমন্ত্রী মিলেই দেশ চালাবেন বলে ঠিক করে থাকেন, তাহলে আর এত ঘটা করে নির্বাচন করার কী দরকার। ‘গণতন্ত্রের তামাশা’, বলছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন তাঁর গলায় পঞ্জাব-বাংলার পুরনো সম্পর্কের কথা। ভগৎ সিংহের কলকাতা যাতায়াতের কথাও মনে করিয়ে দিলেন মান। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী ঐক্যে শান দিতেই বৈঠকে তিন অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী? এই বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হবে আগামী দিনে, সে দিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।