প্রতিবেদন ও চিত্রগ্রহণ: প্রিয়ঙ্কর, সম্পাদনা: সুব্রত
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে পেশার আইনি স্বীকৃতি মিলেছে। তবে যৌনকর্মীদের সামাজিক স্বীকৃতি এখনও অনেকটাই অধরা। শ্রমের স্বীকৃতির লড়াই, সমাজে সম্মান ও আত্মমর্যাদার লড়াই দীর্ঘ দিন ধরে লড়ে আসছেন এ রাজ্যের যৌনকর্মীরা। নিজেদের সংগঠিত করেছেন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির ছাতার তলায়। বার বার সোচ্চার হয়েছেন নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে। তবে শুধু মিটিং, মিছিল, স্লোগানিংয়েই থেমে থাকেননি, ডুব দিয়েছেন স্বনির্ভরতার নিরীক্ষায়। সেরকমই এক সফল অন্বেষণের নাম ঊষা মালটিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি। এই সমবায়ভিত্তিক আমানত সংস্থার শেয়ারহোল্ডার যৌনকর্মীরা। পরিচালকমণ্ডলীও গড়ে ওঠে তাঁদের মধ্য থেকেই। শেয়ার না থাকলেও টাকা জমা রাখতে পারেন অন্যান্য প্রান্তিক মানুষেরাও।
বর্তমানে সারা রাজ্য জুড়ে ঊষার ৩০ হাজারেরও বেশি সদস্য। ঊষার সদস্যপদ এনে দিয়েছে নানান সুবিধা। যেমন, অনেকের ক্ষেত্রেই কোঅপারেটিভের বইটিই তাঁর এক মাত্র সচিত্র পরিচয়পত্র। ঊষা থেকে ঋণ নিয়ে ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা শেখাচ্ছেন কেউ কেউ। কেউ বা আবার ‘রিটায়ারমেন্টে’র পরে একটা ছোট্ট বাসস্থানের আয়োজন করছেন। সোনাগাছির পেশাজীবী মেয়েদের অনেকেই বলছেন ঊষা তাঁদের ‘স্বপ্নের ব্যাঙ্ক’। এই গল্প তাই খেটে খাওয়া নারীর ক্ষমতায়নের গল্প।