প্রতিবেদন: সুব্রত, প্রিয়ঙ্কর, শ্রাবস্তী
সাধ থাকলেও কী সাধ্য থাকতে আছে? পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার হাজারও নিয়মের বেড়াজালে ইচ্ছে পূরণের জন্য বহু ক্ষেত্রেই মেয়েদের অপেক্ষা করে থাকতে হয় কারোর অনুমতির জন্য। ‘মেয়েদের বেশি বাইরে যেতে নেই’, ‘অপরিচিতদের সঙ্গে মিশতে নেই’, ‘বেশি দূর পড়াশোনা করার দরকার নেই’— এরকম হাজারটা ‘না’-র ঘেরাটোপে আজও কাটে বহু মেয়ের জীবন। বেশিরভাগই মেনে নেন পরিস্থিতি, যেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার মধ্যেই কিছু জন বিদ্রোহ করেন, খুঁজে নেন নিজস্ব পথ। যেমন রূপা পাণিগ্রাহী। চোদ্দ বছর বয়সে বিয়ে। স্বামীর হাতের মারের ক্ষতকে বুকে নিয়েই পূরণ করেছেন ছোটবেলার সাধ— শিখেছেন সাইকেল চালানো। মেয়ে বলে রূপার মা কখনও তাঁকে সাইকেল শেখার অনুমতি দেননি। তাই আজ যখন তিনি সাইকেল নিয়ে কাজে বেরোন রোজ, রূপার ঠোঁটের কোনে লেগে থাকে এক চিলতে হাসি। সেই হাসি জয়ীর আত্মবিশ্বাসের হাসি। বাড়ি, সংসার সবার থেকে সরে এসে রূপা জয় করেছেন তাঁর নিজের পৃথিবী— সঙ্গী সাইকেল। সাইকেলের সিটে বসে নিজের জীবন নিজেই শাসন করেন তিনি। কলকব্জার পক্ষীরাজে চেপে মুক্তির দু’ডানা মেলে দেন বদলাতে থাকা এ শহরের বুকে।