৩০০ দিনেরও বেশি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি। মঙ্গলবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আলিপুর আদালতে পেশ করে সিবিআই। তিনি অসুস্থ। জেলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা হচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট আসতে ১০ দিন লেগে যাচ্ছে। এজলাসে দাঁড়িয়ে এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিচারক বলেন, “আপনি প্রথম জানালেন। দেখছি ব্যাপারটা।” পার্থ এর পরে বিচারকের সামনে হাত জোড় করে বলেন, “দেখুন স্যর! মরে গেলে আর বিচার করবেন কী করে? স্যর, ৩০০ দিনের উপর হয়ে গিয়েছে।” বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন বিচারক। এ দিন জামিনের আবেদন করা হয়নি পার্থের আইনজীবীর তরফে, তার বদলে ‘অসুস্থ’ পার্থ যাতে যথাযথ চিকিৎসা পান তাঁর আবেদন জানানো হয়।
সোমবার পার্থ-‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর মক্কেলের কোনও ভূমিকা নেই, মূলচক্রী (মাস্টারমাইন্ড) পার্থ। এ নিয়ে মঙ্গলবার পার্থকে আদালতে ঢোকার সময় প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী যদিও এ নিয়ে মুখ খোলেননি। সাংবাদিকদের দিকে না তাকিয়ে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে আদালত চত্বরের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। তবে আদালত চত্বরে অন্য একটি প্রশ্নের জবাব তিনি দিয়েছেন। সোমবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। এ নিয়ে পার্থ বলেন, “সবাই আসবে”। “সরকারের প্রতি আস্থা রাখুন,” আবেদন প্রাক্তন তৃণমূল নেতার।
এ দিন পার্থ, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি সাহা-সহ ৭ জন অভিযুক্তকে পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। পার্থ ছাড়া সকলেরই জামিনের আবেদন জানানো হয়। ১৩ জুন পর্যন্ত সকলকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।