প্রতিবেদন: তীর্থঙ্কর
পত্নীবিয়োগে জীবনভর বিশেষ আচার মানতে হয় না এ সমাজের পুরুষকে। কিন্তু স্বামীহারার বৈধব্যজীবনে অনেক বিধিনিষেধ। ২০১৮ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর নিউটাউনের অন্বেষা চক্রবর্তী এই ‘বেনিয়ম’ মানতে চাননি। বিজয়া দশমীতে নিজের বাড়ির পুজোয় তাই তাঁর সিঁদুর খেলা থমকে যায়নি। তিনি একা নন, তাঁদের পুজোয় প্রতিমা ভাসানের আগে সিঁদুর খেলতে যাঁরা জড়ো হন, তাঁদের মধ্যে থাকেন বিধবারাও। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। লিঙ্গপরিচয় এবং যৌনকামনায় যাঁরা সমাজের বেঁধে রাখা নিয়মের বাইরে নিজেদের মতো করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চান, তাঁরাও উপস্থিত ছিলেন এই উৎসবে। রূপান্তরকামী, রূপান্তরিতরা ছিলেন। ছিলেন নানা সম্প্রদায়ের মানুষও। অন্বেষার কথায়, ‘‘মা সবার। তাই মাকে আদর করে বরণ করে বিদায় জানানোর অধিকারও সবার। জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, সম্প্রদায়, সদবা, বিধবা যে যাই হোন, সবাই আমরা মায়ের সন্তান’’।