প্রতিবেদন: সুদীপ্তা, সম্পাদনা: সুব্রত
মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল যে বুধবারের দিল্লিযাত্রা বাতিল করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ না দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন তিনি। সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর। বিধাননগরের চারটি থানা ছাড়াও আশেপাশের আরও কিছু থানার পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। আনা হয়েছে গোয়েন্দা কুকুর। কমপ্লেক্সের ভিতরে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানেরা। প্রবেশাধিকার নেই সাংবাদিকদেরও।
প্রসঙ্গত, রবিবার নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে অভিষেক জানান তাঁকে ফের ইডি তলব করেছে। তিনি লেখেন, “ইন্ডিয়ার সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে, যে কমিটির আমিও এক জন সদস্য। কিন্তু ইডি ওই দিনই আমাকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস দিয়েছে! এই মাত্র সেই নোটিস পেলাম। ৫৬ ইঞ্চি ছাতির কাপুরুষতা ও অন্তঃসারশূন্যতা দেখে বিস্মিত না হয়ে পারছি না।” অভিষেককে ইডির তলব নিয়ে সোমবারই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অভিষেককে সারা ক্ষণ বিরক্ত করা হচ্ছে। অকারণ হেনস্থা করা হচ্ছে ওকে। কোনও প্রমাণ নেই।” প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আদালত জানায়, নতুন করে রক্ষাকবচের প্রয়োজন নেই, কারণ ইডি আগেই কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না বলে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হাই কোর্টের এই নির্দেশে স্বস্তি তৃণমূল শিবিরে। আপাতত সেই রক্ষাকবচ সঙ্গী করেই ইডি দফতরে এলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক।