Teacher

বিনা পারিশ্রমিকে ২০ বছর ধরে ছাত্র পড়ান মিলন মাস্টার

শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালে। কোচবিহারের মহিষ কুচি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে নিজের ভাইপোকে স্কুলে দিতে আসতেন মৃত্যুঞ্জয় লাহিড়ী। স্কুল ছুটি না হওয়া পর্যন্ত তিনি স্কুলের মধ্যেই বসে থাকতেন। সেই সময় স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় শিক্ষকের অনুপাত কম থাকায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় লাহিড়ীর কাছে সহযোগিতা চান। গ্রাজুয়েট মিলনবাবু প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে শুরু করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৫৫
Share:
Advertisement

রোজ সকাল সকাল স্কুলে পৌঁছে যান মৃত্যুঞ্জয় লাহিড়ী। ২০ বছর ধরে পড়াচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীদের। তবে তার জন্য তিনি নেন না কোনও পারিশ্রমিক। ঝড় বৃষ্টি কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগেও স্কুলে আসায় বিরাম নেই। সকলের কাছে তিনি মিলন মাস্টার নামে পরিচিত। শুধু ছাত্রদের ভালবাসার টানে দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে এ কাজ করে আসছেন মিলন মাস্টার। শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালে। কোচবিহারের মহিষ কুচি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে নিজের ভাইপোকে স্কুলে দিতে আসতেন মৃত্যুঞ্জয় লাহিড়ী। স্কুল ছুটি না হওয়া পর্যন্ত তিনি স্কুলের মধ্যেই বসে থাকতেন। সেই সময় স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় শিক্ষকের অনুপাত কম থাকায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় লাহিড়ীর কাছে সহযোগিতা চান। গ্রাজুয়েট মিলনবাবু প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে শুরু করেন। সকাল থেকে বিকেল ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিল খাওয়ানো থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া সবই করেন তিনি। প্রধান শিক্ষক সুব্রত সাহা জানান, মৃত্যুঞ্জয় বাবুর আর্থিক অবস্থাও তেমন ভাল নয়। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয়েছিল তাকে কোনও ভাবে সাহায্য করার। কিন্তু তিনি সেই সহযোগিতা নিতে চাননি। মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘‘ছাত্রদের পড়াশোনা করানোটা আমার নেশা। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের ছেড়ে আমি থাকতে পারব না। তাই যতদিন ছাত্র-ছাত্রীরা রয়েছে এবং যতদিন আমি রয়েছি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝেই থাকতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
সর্বশেষ ভিডিয়ো
Advertisement