প্রতিবেদন: সুদীপ্তা, সম্পাদনা: সৈকত
চাকরির দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই মিটিং-মিছিল করছেন রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি পদে আবেদনকারীরা। ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অবস্থানে বসে আছেন তাঁরা। বুধবার তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভের ৪০০তম দিন ছিল। এ দিন আবার নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরতে রাস্তায় নামলেন তাঁরা। বুধবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে জমায়েত করেন বিক্ষোভকারীরা। সেখান থেকেই মিছিল শুরু হয়ে হাজরা মোড়ে গিয়ে শেষ হয় মিছিল। মিছিলে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। মিছিল থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এক যোগে আক্রমণ শানান শুভেন্দু-কৌস্তভ। শুভেন্দুর সঙ্গে এক মিছিলে পাশাপাশি হাঁটা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কৌস্তভ বাগচী জানান, তিনি প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও হাঁটতে রাজি আছেন। এ দিনের মিছিলে বিক্ষোভকারীদের নিশানায় ছিল বিজেপি-বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটও।
এর আগে, হাজরা মোড় থেকে কালীঘাট হয়ে হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে আবার হাজরা পর্যন্ত মিছিল করতে চেয়ে আবেদন করেন গ্ৰুপ ডি ঐক্য মঞ্চের চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ অনুমতি না দিলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। গত বুধবার হাই কোর্টে রাজ্য জানায়, ওই এলাকায় মিছিল হলে ট্রাফিকের সমস্যা হবে। তা ছাড়া মিছিলের রুটের কিছু অংশে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। পরে মিছিলের রুট বদল করা হয়। বিচারপতি সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, মিছিল শুরু হবে থিয়েটার রোড থেকে। ক্যামাক স্ট্রিট, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, এক্সাইড মোড় দিয়ে হাজরা মোড়ে মিছিল শেষ হবে। তখন রাজ্য আপত্তি না করলেও পরে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায়। তাদের বক্তব্য, ক্যামাক স্ট্রিট এলাকায় স্কুল রয়েছে। মিছিল হলে স্কুলপড়ুয়ারা অসুবিধায় পড়বে। তাই ওই মিছিলের রুট বদল করা হোক। মঙ্গলবার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে আদালত জানায়, নতুন আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। ওই রাস্তা দিয়ে পড়ুয়ারা স্কুলে যায়। তাই তাদের অসুবিধা না করে মিছিল ক্যামাক স্ট্রিটের উপর দিয়েই যাবে। সেই নির্দেশ মতোই এ দিন ক্যামাক স্ট্রিট থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন চাকরিপ্রার্থীরা।