প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: বিজন
‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে পেশ করার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ দিন মানবিকতার খাতিরে শুনানি পিছিয়ে দেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। তাঁকে ফের ১২ জুলাই আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। ৭ জুলাই সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বর পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলার দিন ধার্য করা হয়েছে। সোমবার রাত ১টায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সুজয়ের স্ত্রী বাণী ভদ্রের। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। স্ত্রী বাণী ভদ্রের প্রয়াণের পর জামিনের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। যদিও স্ত্রী-র শেষকৃত্যের জন্য তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত ৩০ মে প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেতুবন্ধনের কাজ করেছিলেন সুজয়। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। ২০১৮ সাল থেকে এই দুর্নীতিতে ‘কাকু’ জড়িত বলে দাবি করেছে ইডি।