প্রতিবেদন: রিঙ্কি ও প্রিয়ঙ্কর, সম্পাদনা: সৈকত
রেশন দুর্নীতি তদন্তের রেশ— জ্বলছে সন্দেশখালি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে প্রহৃত ইডি। সেটাই ছিল সূত্রপাত। যার পাল্টা অভিঘাত, তালা ভেঙে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি। ক্ষোভ। বিক্ষোভ। অশান্তি। দল ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড ঘোষণা করতেই গ্রেফতার সন্দেশখালির বেতাজ ‘বাদশা’ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার। গ্রেফতার বিজেপি নেতা-সহ সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কও। খোঁজ নেই শিবু হাজরার। শাহজাহানকে পেতে চিরুনি তল্লাশি প্রশাসনের। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের ছত্রছায়ায় নিরাপদেই আছেন দুর্নীতির অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালি পরিদর্শনে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আসার কথা শুনেই মুখে কাপড় বেঁধে রাস্তায় সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতারা’। মুখে কাপড় দিয়ে পরিচিতি গোপনের চেষ্টা! তাঁদের অভিযোগ, মিডিয়ায় দেখে চিহ্নিত করে এফআইআর করছে পুলিশ। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী প্রমীলা বাহিনীর অভিযোগ, শাহজাহান-শিবু-উত্তম যে শুধু দুর্নীতির সঙ্গেই জড়িত তা নয়, মেয়েদের উপর নির্যাতনেও সিদ্ধহস্ত এই তিন। রাজ্যপালের কাছে গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, ‘দোষীদের শাস্তি চাই।’