সম্পাদনা: বিজন
‘কুস্তি’ বিতর্কের মধ্যেই হরিয়ানার বীরেন্দ্র আখড়ায় রাহুল গান্ধী। কথা বললেন অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া এবং তাঁর ভাই দীপক পুনিয়ার সঙ্গে। আখড়ায় বজরঙের সঙ্গে কুস্তি লড়ার কয়েকটি ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাহুল জাতীয় কুস্তি সংস্থার নির্বাচন এবং ক্রীড়া মন্ত্রকের ভূমিকা প্রসঙ্গে লেখেন, “একটাই প্রশ্ন— যদি দেশের মেয়েদের, কুস্তিগীরদের কুস্তি লড়া ছেড়ে দিয়ে নিজেদের অধিকার অর্জনে রাস্তায় প্রতিবাদে নামতে হয় তাহলে নতুন প্রজন্মকে কারা অনুপ্রাণিত করবে? এঁরা প্রত্যেকে সহজ সরল। সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান। দেশের জন্য ওঁদের কিছু করে যেতে দিন। শ্রদ্ধা এবং গর্বের সঙ্গে দেশকে গর্বিত করুন ওঁরা।” রাহুল গান্ধীর এই ঝটিকা সফর নিয়ে বজরং পুনিয়া বলেন, “একজন কুস্তিগীরের দৈনন্দিন জীবন কেমন হয়, সেটা দেখতেই এখানে এসেছিলেন রাহুল গান্ধী। আখড়ায় এসে আমার সঙ্গে কুস্তি লড়েছেন এবং একটি ভিডিয়ো তৈরি করেছেন।” জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছিল তোলপাড়। সাক্ষী মালিকরা চেয়েছিলেন তাঁদের সংস্থার মাথায় আসুন কোনও মহিলা। সেই মতো নির্বাচনেও লড়েন কুস্তিগীর অনিতা। তবে ব্রিজভূষণের সহায়কের কাছে তাঁর হার হয়। যার প্রতিবাদে কুস্তি থেকে আকস্মিক অবসর নেন সাক্ষী মালিক। পদক ফিরিয়ে দেন আরও অনেক কুস্তিগীরও। এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে এক প্রকার বাধ্যই হয় ক্রীড়া মন্ত্রক। বাতিল করা হয় কমিটি। এই ঘটনার মধ্যেই পুনিয়া ব্রাদার্সের সঙ্গে রাহুলের সাক্ষাৎ এবং পাশে থাকার বার্তা বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।