পেশাগত চাপ, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়া, পারিবারিক অশান্তির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। জীবনের সব সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হিসাবে মৃত্যুই হয়ে উঠছে অন্যতম অস্ত্র। বাইরে থেকে দেখে মৃত্যুভাবনার আঁচ করা যায় না অনেক সময়ে। কয়েক মুহূর্ত আগেও নেটমাধ্যমে সক্রিয় থাকা ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আগে থেকে বোঝা যায়নি যে, তিনি আর বাঁচতে চাননি। লোকে কী বলবে ভেবে বোঝাতে চাননিও হয়তো। মরে যেতে চান শুনে অনেকেই তাঁকে দুর্বল ভাবতে পারেন, পরাজিত ভাবতে পারেন। সেই আশঙ্কায় ভিতরে শেষ হয়ে গিয়েও ভাল থাকার অভিনয় করে গিয়েছেন। বেঁচে থাকার কারণ তাই তো অনেক সময়ে বলা হয়ে ওঠে না। সেখানে বাঁচার ইচ্ছেটাই চলে গিয়েছে, সেটা কী ভাবে বলবেন? এই নিয়েই সোমবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক ও ইউটিউবে আলোচনায় বসলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘কী করে বলব? সঙ্গে অনুত্তমা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের এই সপ্তাহের বিষয় ছিল ‘বাঁচতে ইচ্ছে করে না’। গত সপ্তাহেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন মনোবিদ। আগের পর্বের কিছু অমীমাংসিত সমস্যাকে তুলে ধরাই এই পর্বের মূল বিষয় ছিল। প্রতি পর্বের আগেই অনুত্তমার কাছে পাঠানো যায় প্রশ্ন। এই পর্বেও বহু মানুষের কাছ থেকে ই-মেলে প্রশ্ন পেয়েছিলেন মনোবিদ।