সাইরেন বাজতেই ধুলোয় মিশল জোড়া অট্টালিকা। নয়ডার এই যমজ অট্টালিকা প্রথম থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। যার একটির নাম অ্যাপেক্স, অন্যটি সিয়েন। নির্মাণের শুরু থেকেই বিতর্ক সঙ্গী ছিল নয়ডার এই যমজ অট্টালিকার। ২০০৫-এ সেক্টর ৯৩এ-তে ১৪টি অট্টালিকা বানানোর অনুমতি পেয়েছিল নির্মাণ সংস্থা সুপারটেক। অট্টালিকাগুলির উচ্চতা ৩৭ মিটারের মধ্যে হতে হবে, এমন নির্দেশ দিয়েছিল নয়ডা প্রশাসন। ২০০৬-এ আরও জমি দেওয়া হয় নির্মাণ সংস্থাকে। ২০০৯ সালে স্থির করা হয়, আরও দু’টি অট্টালিকা বানাবে সুপারটেক। তার মধ্যে একটি হল অ্যাপেক্স, অন্যটি সিয়েন। ২৪ তলা পর্যন্ত এই যমজ অট্টালিকা বানানো হবে বলে স্থির করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে সেই অট্টালিকা ৩২ তলা এবং ২৯ তলা করা হয়। আর এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। নির্মাণ আইন অনুযায়ী, যেখানে দু’টি অট্টালিকার দূরত্ব ৩৭ মিটার হওয়া উচিত, সেখানে ১৬ মিটার দূরত্বে অ্যাপেক্স এবং সিয়েনকে নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১২-র ডিসেম্বর থেকে এই যমজ অট্টালিকা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল। অবশেষে যমজ অট্টালিকা ভাঙার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যমজ অট্টালিকাকে গুঁড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় চার হাজার কেজি বিস্ফোরক। ৮০০০ টন ধ্বংসাবশেষ সরানো হবে তিন মাস ধরে।