প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে ঢালাও নিষিদ্ধ বাজির খবর আসছিল কালীপুজোর বেশ কিছু দিন আগে থেকেই। তার ফলও মিলল রবিবার রাতে। শব্দবাজি ও আতশবাজির দাপটে কাঁপল কলকাতা ও শহরতলির বেশ কিছু অঞ্চল। কিন্তু তার প্রতিফলন দেখা গেল না দূষণ সংক্রান্ত সরকারি পরিসংখ্যানে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ‘ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ জানাচ্ছে, আগের কয়েক দিনের তুলনায় দীপাবলির রাতে শহরে বাতাসের গুণমান সূচকে খুব বেশি হেরফের হয়নি। কোথাওই দূষণের মাত্রা ‘খারাপ’ থেকে ‘অতি খারাপে’ পৌঁছয়নি। বরং, কয়েকটি জায়গায় ১০ তারিখ রাতের তুলনায় বাতাসের গুণমানের উন্নতিই দেখা যাচ্ছে সরকারি পরিসংখ্যানে। তাহলে কি বাজি পুড়লেও দূষণ বাড়েনি? পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত অবশ্য প্রশ্ন তুলছেন এই পরিসংখ্যানের যথার্থতা নিয়েই। তাঁর দাবি, অবিলম্বে বাতাসে পিএম ২.৫ ও অন্যান্য দূষিত ধূলিকণা মাপার এই সরকারি ব্যবস্থার যাচাইয়ের প্রয়োজন।