তীব্র দাবদাহ এবং অনাবৃষ্টিতে মালদহে এ বার ফলন কার্যত শিকেয় উঠেছে। রোদের তাপে পুড়ছে গৌড়বঙ্গের জমির ফসল। শুকিয়ে যাচ্ছে মালদার অর্থকরী ফসল আম। এ বছর দেরিতে এসেছে আমের মুকুল। তাই প্রকৃতির রোষে এখন মাথায় হাত পড়েছে আম চাষিদের। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এ বছর মালদহে আমের ফলন স্বাভাবিকের থেকে প্রায় অর্ধেক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। আম উৎপাদনে এ বারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু তীব্র দাবদাহের ফলে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না এই বছর, এমনই আশঙ্কা চাষিদের। আমের ফলন বাঁচাতে গাছের তলায় পর্যাপ্ত পরিমানে জল এবং খড় দিয়ে আমগাছের গুঁড়ি ঢাকার পরামর্শ দিয়েছেন আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উজ্জ্বল সাহা। আম চাষি আব্দুল লতিফ জানান, “তীব্র দাবদাহের ফলে জল সঙ্কট শুরু হয়েছে চাষের জমিতে। মালদহের বাজারে সুস্বাদু আম সহজলভ্য হবে না বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে তার দরও আকাশছোঁয়া হতে পারে।”
আমের ফলনের পাশাপাশি ধান চাষেও বাধা ফেলেছে অত্যধিক গরম। ধান চাষি বিজন ভকত বলেন, “তীব্র গরমে পর্যাপ্ত জল না পাওয়ায় ধান গাছও শুকিয়ে যাচ্ছে। টাকার বিনিময়ে পাম্প চালিয়ে জমিতে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। তবে মালিকেরা পাম্পের জন্য অতিরিক্ত টাকা দাবি করায় মুনাফার চেয়ে ক্ষতির হারই বেশি।”