প্রতিবেদন: সৌরভ, সম্পাদনা: সৈকত
পাইয়ে দেওয়ার নয়, মানসম্মানের লড়াই থেকেই অর্জন লিটল ম্যাগাজ়িন। রবীন্দ্রসদনের উল্টো দিকে মোহরকুঞ্জ থেকে পার্কস্ট্রিট হয়ে বিধাননগরের ‘বইমেলা প্রাঙ্গন’— ‘বইমেলায় প্রস্রাবাগারের পাশ থেকে হৃদয়ে’ জায়গা পাওয়ার লড়াই কম করে চার দশকের। তারপরও ‘আক্রোশ’ এবং ‘আগ্রাসনে’র কমতি নেই। প্রথমত, জায়গা কমছে এবং দ্বিতীয়ত লিটল ম্যাগাজিনের প্যাভিলিয়ন তৈরির জন্য যে জায়গা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও থাকছে সংশয়। গতবারই যেখানে স্টলের সংখ্যা ছিল তিন শতাধিক, চলতি বছরেই তা কমে এসে ঠেকেছে ২৩৪। বরং বইয়ের মেলায় ‘লাইমলাইট’ পাচ্ছে খাবারের স্টল। তার উপর বড় প্রকাশনাগুলোর বাণিজ্যিক আধিপত্য। লিটল ম্যাগাজিনের সঙ্গে যুক্ত থাকা একাধিক পত্র, পত্রিকার সম্পাদক, লেখক, লেখিকাদের সংশয়— আবারও ‘তাচ্ছিল্যের অতীত’ ফিরে আসবে না তো! যদিও লিটল ম্যাগাজিনের মাধ্যমে প্রান্তজনের কথা বলা রাজনৈতিক কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, কখনওই এমন হয়নি, যেখানে পিল পিল করে লোক লিটল ম্যাগাজিন করছেন। তবে যে একমাত্রিক ভাষ্য গোটা দেশ এবং বিশ্বজুড়ে চলছে তার বিরুদ্ধে মানুষের দুঃখ, কষ্ট, কান্না— সেই লক্ষ কণ্ঠের স্বর হয়েছে লিটল ম্যাগাজ়িন। আর সেই কারণেই কর্পোরেট কেরানির বাধ্যবাধকতা ছেড়ে এখনও, আজও নিজের কথা বলতে, লিটল ম্যাগাজিনমুখী হচ্ছেন আধুনিক মনের মানুষ।