পরিবর্তনের ভোটে ভরাডুবি হল ভারতীয় শিল্পপতি নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি সুনকের কনজ়ারভেটিভ পার্টির। ব্রিটেনে কিয়ের স্টার্মারের নেতৃত্বে লেবার পার্টি চারশোর বেশি আসন পেয়ে বিপুল জয় পেয়েছে। অবশেষে, প্রায় দেড় দশক বাদে রাজার দেশে ক্ষমতার পালাবদল হতে চলেছে। এই দফায় টোরিদের দিন শেষ। স্টার্মারের হাতেই ক্ষমতার রাশ।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুনককে ধন্যবাদ জানিয়ে যেমন সমাজমাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন, তেমনই অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা গিয়েছে স্টার্মারের কাছেও। এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন, ব্রিটেনের পালাবদলের কতটা প্রভাব পড়বে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে? ‘ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট’ বা এফটিএ নিয়ে যদিও ক্ষমতায় আসার আগেই সদিচ্ছা প্রকাশ করেছিল লেবার পার্টি। স্টার্মার নিজেও ভারতপন্থী। ফলে লেবার জমানায় ঐতিহাসিক এফটিএ সম্পাদিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ। কাশ্মীর নিয়েও ভারতকে বেকায়দায় যে তিনি ফেলবেন না, তা কার্যত নিশ্চিত। ফলে, ক্ষমতার হাতবদল হলেও দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কে যে সুবাতাস বইছে, তা অব্যাহতই থাকবে বলেই অনুমান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞের।