প্রতিবেদন: রিঙ্কি, সম্পাদনা: বিজন
যাদবপুরকাণ্ডে তিন অভিযুক্তকে৩১ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। সরকার পক্ষের আইনজীবীর অভিযোগ, জেরার সময় একেক বার একেক রকম কথা বলেছেন ধৃতেরা। তাঁর দাবি, এই তিন পড়ুয়া এবং আগে গ্রেফতার হওয়া ন’জন অভিযুক্ত তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছেন। এটি একটি সংগঠিত অপরাধ। অপরাধ ঘটার সময় এই তিন জন উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকে যাদবপুরের এক বর্তমান পড়ুয়া ও দুই প্রাক্তনী সত্যব্রত রায়, শেখ নাসিম আখতার এবং হিমাংশু কর্মকারকে যাদবপুর থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এঁদের মধ্যে নাসিম ও হিমাংশু প্রাক্তনী। রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র নাসিম পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা। মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জের ছেলে হিমাংশু যাদবপুরের গণিত বিভাগ থেকে পাশ করে বেরিয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা সত্যব্রত বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, এই সত্যব্রতই ঘটনার দিন অর্থাৎ, বুধবার রাতে ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, হস্টেলে এক পড়ুয়াকে ‘পলিটিসাইজ়’ করা হচ্ছে। ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছিলেন, হস্টেল থেকে এক ছাত্রকে ঝাঁপ দিতে বলা হচ্ছে। অন্য দিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দার কোণ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি নীল রঙের হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জি। সেগুলি মৃত ছাত্রের কি না, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। কেন না, মৃত ছাত্রকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে যদি এই পোষাক মৃত ছাত্রের হয়, তবে এই কেসে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বলেই মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। ওই নীল রঙের হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জি ইতিমধ্যেই ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, ধৃতদের মোবাইল ফোন ও মেস কমিটির একটি খাতা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।