বহরমপুরের তৃতীয় দ্রুত নিষ্পত্তি (ফাস্ট ট্র্যাক) আদালত। ভরা এজলাসে রায় পড়ে শোনাচ্ছেন বিচারক। থমথমে নিস্তব্ধতা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজে। কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনের মামলায় সুশান্ত চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাচ্ছিলেন বিচারক। একটু আগেই কালো শামলার ভিড়ে বাড়ির লোকদের খুঁজছিলেন সুশান্ত। মায়াভরা দু’চোখ দেখে বিশ্বাস করা কঠিন বছর খানেক আগে এই যুবকই রাস্তায় কুপিয়ে খুন করেছিলেন প্রাক্তন প্রেমিকা সুতপা চৌধুরীকে। রায় শুনে কাঠগড়াতে দাঁড়িয়েই কেঁদে ফেললেন সুশান্ত। উল্টো পক্ষও বিপর্যস্ত। সাজা ঘোষণা হতেই মেয়ের নাম ধরে চেঁচিয়ে উঠলেন সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরী। এক মুহূর্তের জন্য থমকালেন কি বিচারক?