নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করেছে হাওয়া অফিস। অগত্যা স্থলভাগের দিকে ফিরে আসছে ট্রলার। এর জেরে ক্ষতির মুখে মৎস্যজীবীদের একাংশ। এই ক্ষতির প্রভাব পড়তে পারে বাজারেও। রান্নাপুজোয় হেঁশেলে অমিল হতে পারে ইলিশ।
দিঘা, শঙ্করপুর, কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবারে ইলিশের জোগান কম। বাজারে যেটুকু ইলিশ রয়েছে, তার দাম আকাশছোঁয়া। পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ইলিশের দাম ১,৮০০ থেকে ২,০০০ টাকা। খুচরো বাজারে যার দাম বেড়ে হচ্ছে ২,২০০ থেকে ২,৫০০ টাকা। ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ‘খোকা ইলিশ’ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী সংগঠনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞার কারণে একে একে গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলি বন্দরের দিকে ফিরছে। রান্না পুজোয় ইলিশের চাহিদা থাকলেও তেমন ভাবে জোগান দিতে পারবেন না মৎস্যজীবীরা।’’
অন্য দিকে, ট্রলারমালিক মাখন দাস বলেন, ‘‘কী হবে বুঝে উঠতে পারছি না। মাছের দাম কার্যত আকাশছোঁয়া হতে চলেছে।’’
বাজারে যাঁরা আসছেন, তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, ইলিশের পরিবর্তে তাঁরা এ বার অন্য মাছ দিয়ে রান্নাপুজো সারবেন।