হিজড়ে পেশাই রুটিরুজির সম্বল। তবে নির্বাচনের মরসুমে অঞ্জলি, সম্রাজ্ঞীদের যে পরিচয়টা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, সেটা হল ‘ভোটার’। অন্তত সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাকিদের তুলনায় ‘ডেরা’র মানুষেরা কি একটু ‘কম ভোটার’? অঞ্জলিদের ভোটার কার্ডে জ্বলজ্বল করে তৃতীয় লিঙ্গ পরিচয়। নির্বাচন কমিশন বলছে ’১৯-এর তুলনায় এ বারের ভোটে ১৭ শতাংশ বেশি তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। কিন্তু ভোটারতালিকার সংখ্যাটা কি সঠিক? কমিশন স্বীকার করে যে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ভোটে উৎসাহিত করাটা একটা চ্যালেঞ্জ। কেন? ভোট দিতে অনীহা? বৈষম্য কি বুথের লাইনেও? কী ভেবে ভোট দেন অঞ্জলি-সম্রাজ্ঞীরা? বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছেন এক রূপান্তরকামী নারী। পাশের রাজ্য ওড়িশায় বিজেডি-র মহিলা সংগঠনের মুখ আরও এক রূপান্তরকামী রাজনীতিক। প্রান্তিক এই সমাজের থেকে কি প্রার্থী দিতে পারে না রাজনৈতিক দলগুলি? বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের ছাতি কি তাতে আরও চওড়া হয় না? নিজেদের অধিকার নিজেদেরই বুঝে নিতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলির ভরসায় থাকলে চলবে না। এমনটাই বিশ্বাস করেন দীর্ঘ দিন ধরে রূপান্তরকামী ও হিজড়ে পেশার মানুষদের অধিকারের লড়াই লড়ে আসা রঞ্জিতা সিন্হা। “এক জন নাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়া আমার কর্তব্য, এ বারেও দেব। তবে রাজনৈতিক দল বা সরকারের কাছ থেকে কোনও আশা রাখি না,” বলছেন সম্রাজ্ঞী। বিয়ের মরসুম নয় বলে রোজগার কমেছে, ভোট মরসুম নিয়ে তাই অতও মাথাব্যথা নেই বাইপাসের ধারের ডেরায়। সেই ডেরায় এবার আনন্দবাজার অনলাইন।