‘আবগারি দুর্নীতি’ মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় টানা ৯ বার ইডির সমন এড়িয়ে ছিলেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো কেজরীওয়াল। বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ইডির তল্লাশি অভিযানের পর থেকেই আপ নেতৃত্ব সংশয় প্রকাশ করেছিল, লোকসভা ভোটের আগে হয়ত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (প্রাক্তন) হেমন্ত সোরেনের মতো অরবিন্দ কেজরীওয়ালকেও গ্রেফতার করা হবে। আপ নেতা অতিশী এবং সৌরভ ভরদ্বাজের সেই আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হলেন কেজরীওয়াল। একটি সাংবাদিক বৈঠকে ইডি এই মামলায় মূল ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসাবে অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে কাঠগড়ায় তুলেছিল। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, দক্ষিণের একটি লবির স্বার্থ সুরক্ষিত করতেই আবগারি নীতি তৈরি করেছিল আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। বিনিময়ে আম আদমি পার্টিকে ওই দক্ষিণী লবির তরফে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলেও দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। এ দিন ২ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পরই অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। কেজরীওয়ালই দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হলেন। দলের শীর্ষ নেতার গ্রেফতারির পর আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, কেজরীই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন এবং জেলে বসেই সরকার পরিচালনা করবেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে দিল্লি সরকারের মন্ত্রী অতিশী এই গ্রেফতারির চরম নিন্দা করে বলেন, “কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীর ষড়যন্ত্র। দু’বছর ধরে এই তদন্ত চলছে। আপ নেতাদের বাড়িতে হাজার তল্লাশি চালিয়েও এক টাকাও উদ্ধার করতে পারেনি ইডি, সিবিআই।” রাতেই দ্রুত শুনানির আর্জি আপের। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির নিন্দায় সিপিএম, তৃণমূল-সহ বিরোধীরা।