পাহাড়ে গুটিকয়েক বাঙালি মিলে শুরু করেন পুজো।১৯১৬ সাল থেকে বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের পুজো চলে আসছে। আজকের তারিখে তার বয়স ১০৬ বছর। দার্জিলিং থেকে খানিকটা নীচে কার্শিয়াংয়ের বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন। বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রাজরাজেশ্বরী হলে নিয়ম মেনে একচালার প্রতিমায় পুজো হয়ে আসছে। সেই সময় থেকে প্রতিমা শিলিগুড়ি থেকে টয় ট্রেনে কার্শিয়াং নিয়ে আসা হত। পাহাড়ে যাত্রিবাহী টয় ট্রেনের পাশাপাশি মালবাহী টয় ট্রেন চলত। খেলনা গাড়ির কামরার সাইজেই মালগাড়ির বগি থাকত। সেই বগিতেই দুর্গা উঠতেন পাহাড়ে। কার্শিয়াং স্টেশনে নেমে সেখান থেকে পালকি করে মণ্ডপে পৌঁছতেন। যদিও এত ঝক্কি না পোহাতে চেয়ে বেশ কয়েকবার পাহাড়েই মূর্তি গড়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। আবহাওয়ার সঙ্গ না মেলায় মূর্তি গড়ে উঠেনি পাহাড়ের কোলে। মূর্তি কখনও শুকিয়ে উঠত না, কাজেই মূর্তির বাকি কাজ করাও সম্ভব হত না। দুর্গার আগমন টয় ট্রেনে হলেও বিসর্জন দেওয়া হত ঝর্নায়।