মঙ্গলবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুদিনে রাজ্যকে বিঁধে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে উদ্দেশ্য করে প্রশাসনিক প্রধানের হুঁশিয়ারি, “সৎসাহস থাকলে আচার্য বিলে সই করুন।” সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কেরলের এক প্রাক্তন আইপিএস-কে উপাচার্য পদে নিয়োগ করেছেন সিভি আনন্দ বোস। তাঁর এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের রাজ্যপাল মহাশয় কালো চশমা পরে জ্ঞান দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনকে উপাচার্য করেছেন, তিনি প্রাক্তন আইপিএস। শিক্ষার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগই নেই। রাজ্যপালের আসন সাংবিধানিক, তাঁর কাজ সংবিধানেই সীমাবদ্ধ। আপনি গায়ের জোরে রাজ্যটাকে কিনে নিতে পারেন না।” আনন্দ বোসকে তাঁর পরামর্শ, দল গড়ে নির্বাচনে লড়ুন অথবা বিজেপির টিকিটে জিতে আসুন। এখানেই শেষ নয়, এ দিন ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনের মঞ্চ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস এবং রাজ্যের সিপিএমকেও নিশানা করেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলোর ‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে দুই শরিকের নিন্দা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিএমের আঁতাতের অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ন্যাশনাল পার্টিতে ইন্ডিয়া আর এখানে ‘বিজেন্ডিয়া’, বিজেপির সঙ্গে বসে আছে।”