চব্বিশের লোকসভা ভোটে ফুল বদল করেছে কোচবিহার। রাজবংশী-গড় ছিনিয়ে নিশীথের কেন্দ্র দখলে নিয়েছে তৃণমূল। কোচবিহারে জিতেছেন ভূমিপুত্র জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। ফলপ্রকাশের দু’সপ্তাহের মধ্যেই কোচবিহারে পা রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতার কনভয় ছোটে চকচকার দিকে। সেখানেই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ নগেন্দ্র রায়ের বাসভবন। এলাকায় তিনি পরিচিত অনন্ত মহারাজ নামে। তাঁর বাড়িকে স্থানীয়েরা ‘প্রাসাদ’ বলতে অভ্যস্ত। মুখ্যমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অনন্ত অপেক্ষা করছিলেন বাড়ির বাইরে। মমতা সেখানে এসে পৌঁছতেই গলায় রাজবংশী উত্তরীয় পরিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। হাতে তুলে দেন রাজবংশী ঐতিহ্যবাহী গুয়াপান। তবে অন্দরমহলে কী আলোচনা কী মিটিং চলছে তা নিয়ে বাইরের উত্তাপ বেড়েই চলেছে রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজবংশী সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাঙ্কের মালিকের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর হঠাৎ এই আগমন রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
প্রসঙ্গত, নিশীথ প্রামাণিক এবং অমিত শাহের সঙ্গে অনন্তের সম্পর্ক মসৃণ গতিতে এগোয়নি। বিভিন্ন কারণে, দু’তরফের মনোমালিন্যের জেরে অনন্ত কার্যত ঘরে বসে যান। উপনির্বাচনের পর বিজেপির রাজবংশী ভোট-ভান্ডারে কার্যত ধস নামিয়ে দেয় তৃণমূল। এর পর থেকেই ক্রমশ বদলাতে থাকে কোচবিহারের চালচিত্র। মঙ্গলবার অনন্ত মহারাজের বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদার্পণ ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।