প্রতিবেদন: রিঙ্কি, সম্পাদনা: বিজন
২০১৩ সালে কামদুনিতে এক কলেজছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছিল কলকাতা। ২০২৩-এ ফের রাজপথে ফিরে এল সেই কামদুনি। সেই রাজপথেই হাঁটলেন নাগরিক সমাজ। কামদুনিকাণ্ডে অভিযুক্ত সইফুল আলি, আনসার আলি, আমিন আলিকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হয় উচ্চ আদালতে। শুক্রবার সইফুল এবং আনসারকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে বাকিদের সাজা মকুব করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নাগরিক মিছিল হল কলকাতায়। সেই মিছিলে হাঁটলেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ। ছিলেন কামদুনির বহু সাধারণ মানুষও। একাধিক মহিলা সংগঠনের কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন মঙ্গলবারের মিছিলে। ১০ বছর আগে কামদুনির ধর্ষিতা, মৃতা তরুণীর বান্ধবী মৌসুমী কয়াল ও টুম্পা কয়ালেরাও মিছিলে যোগ দিয়ে জানান, তাঁরা পৃথক ভাবে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সাজা মকুবের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন। এ দিনের মিছিলে অংশ নেন প্রয়াত সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তী, শিল্পী সমীর আইচ-সহ নাগরিক সমাজের আরও বেশ কিছু চেনা মুখ।