পানিহাটিতে দণ্ড মহোৎসবে দুর্ঘটনার পর সতর্ক মাহেশের জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল টিম তৈরি রাখা হয়েছে। করা হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেডও।
করোনা অতিমারি পর্বে গত দু’বছর বন্ধ ছিল রথযাত্রা। এ বার অবশ্য চাকা গড়াবে হুগলির মাহেশের রথের। মঙ্গলবার ধুমধাম করে পালিত হল জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা।
আগামী ১ জুলাই রথযাত্রা উৎসব। মাহেশের রথযাত্রায় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় প্রতি বছর। এ বার স্নানযাত্রা হচ্ছে রীতি মেনে। মঙ্গলবার সকালে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বার করা হয়। পুজোর পর দুপুরে স্নানপিঁড়ির মাঠে পালিত হয় স্নানযাত্রা। দেড় মন দুধ এবং ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথকে। বিশ্বাস, স্নানের পর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে জগন্নাথের। এর পর সেই মূর্তি লেপ, কম্বল দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। এর পর শুরু হয় ‘অঙ্গরাগ’। ভেষজ রং দিয়ে রাঙানো হয় জগন্নাথকে। কথিত আছে, কবিরাজের পাঁচন খেয়ে অবশেষে জ্বর সারে। তার পর শুরু হয় ‘নবযৌবন উৎসব’। এর পর দিন রথে চড়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা।