বুধবার শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ নামে ওই বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার মলয় পীঠকে বাড়িতে ডেকে পাঠান অনুব্রত। বেলা ১২টার কিছু পরে মলয় পৌঁছন অনুব্রতর বাড়িতে। আধ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। পরে মলয় বলেন, ‘‘ওঁর একটি অস্ত্রোপচার করানোর আছে। তাই আমার কাছে জানতে চাইছিলেন, মেডিক্যাল কলেজে সেই ধরনের চিকিৎসক আছেন কি না। তা হলে উনি দেখাবেন। এই অস্ত্রোপচার কোথায় করলে ভাল হবে, তাড়াতাড়ি করাতে হবে, এই সব বিষয় উনি জানতে চাইছিলেন। আমি ওঁকে বলেছি, এটা ডাক্তারির বিষয়। আলোচনা করছি।’’
মঙ্গলবার কেষ্টকে দেখতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। তাঁর দাবি, সেখানে ‘রোগী’ অনুব্রত তাঁকে বলেন, ১৪ দিনের ‘বেড রেস্ট’ লিখে দিতে। আর তা লিখতে হয় ডাক্তারি প্যাডে নয়, সাদা কাগজে। হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর নির্দেশে এটা করতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক চন্দ্রনাথ। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এর আগে অনুব্রতের শারীরিক পরীক্ষা করে এসকেএমও জানিয়ে দিয়েছিল, আপাতত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই তাঁর। এই আবহে এ বার বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ কেষ্ট।