প্রতি বছর বর্ষা আসে, আবার চলেও যায়৷ তবু অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয় না কুলতুলি ব্লকের গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৪ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের৷ ২০২০ সালে আমপানের ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল অ্যাসবেস্টরের ছাদ৷ তার পর তিন বছর কেটে গেলেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ ফলে বিপাকে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ৯৫ পড়ুয়া৷
এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী পদ্মাবতী নস্কর জানান, কম বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় কোনও রকমে পড়তে বসে পড়ুয়ারা। কিন্তু বৃষ্টি বাড়লে বন্ধ থাকে কেন্দ্র৷ ফলে বহু অভিভাবক এই কেন্দ্রে আর পড়তে পাঠাতে চাইছেন না৷ কুলতলির এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ১০ জন গর্ভবতী মা পুষ্টিকর খাবার পান। বর্ষাকালে তাঁরাও বঞ্চিত হন৷ কুলতুলি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপা সর্দার জানিয়েছেন, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র মেরামতির জন্য ৩ লক্ষ টাকা চেয়ে জেলায় চিঠি পাঠিয়েছেন৷ টাকা পেলে দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷