প্রতিবেদন: রিঙ্কি, সম্পাদনা: সৈকত
সাল ১৯৫০, ২০ জানুয়ারি। ১৬ জন ছাত্রকে নিয়ে শুরু হয়েছিল বাঘাযতীনের রিজেন্ট পার্ক অঞ্চলের গান্ধী কলোনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দেখতে দেখতে ৭৫ বছর পার। হীরক জয়ন্তী বর্ষের উদ্যাপনে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে রিজেন্ট পার্কের এই স্কুলে। এখন স্কুলের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ‘গান্ধী কলোনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে বাঁচাতে হবে।’ একটা সময়ে উদ্বাস্তু কলোনিতে স্থাপিত এই স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। অতিমারি পর্বের পর স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৬০০। এই সংখ্যা আরও কমতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কিত। এই অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের জীবনকে দীর্ঘায়িত করতে উদ্যোগী প্রধান শিক্ষক থেকে প্রাক্তনীরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “কোভিডোত্তর জীবনের প্রভাব পড়েছে নাগরিক জীবনে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো তছনছ হয়ে গিয়েছে। পনেরো বছর আগেও এই স্কুলে হাজারের উপর শিক্ষার্থী ছিল। অনেকেই রুটিরুজির তাগিদে স্কুল-বিমুখ। এই অবস্থায় সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, গান্ধী কলোনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কোএডুকেশন করে দেওয়া হোক।” এই স্কুলের প্রথম ব্যাচের ছাত্র শিবপ্রসাদ ঘোষ দস্তিদার চিন্তিত স্কুলের পরিবেশ নিয়ে। স্থানীয় কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, স্কুলের উন্নতিতে যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হবে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে এই স্কুলের পড়ুয়ারা ভাল করবে বলেও আশাবাদী তপন দাশগুপ্ত।