রবিবার দুপুর তখন ৩টে। সেই সময় দুর্গাপুরের উপ সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান তিন বিচারাধীন বন্দি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগরের বাসিন্দা ভুবন নিয়োগী। অন্ডাল থানায় ডাকাতির মামলা আছে ভুবনের বিরুদ্ধে। ছিলেন জামুড়িয়ার শ্রীপুর মোড়ের বাসিন্দা মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে কুলটি থানা, দেওঘর, মধুপুর রেলপুলিশে ডাকাতির অভিযোগ আছে। এ ছাড়াও ছিলেন নেপাল মৃধা নামে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকার আর এক যুবক। পাণ্ডবেশ্বর থানায় নেপালের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কয়েকটি গামছা জোগাড় করেছিলেন ওই তিন বন্দি। তাঁরা গামছাগুলি গিঁট বেঁধে দড়ির মতো ব্যবহার করেন এবং জেল থেকে পালিয়ে যান।
সংশোধনাগারে বন্দিদের গণনার সময় ধরা পড়ে তিন জন নেই। এর পর শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। রাতভর চলে অভিযান। সোমবার ভোর রাতে দুর্গাপুরের মলানদিঘির জঙ্গলে ভুবন নামে এক বিচারাধীন বন্দিকে দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা ভুবনকে ধরে ফেলেন।