গোটা দেশ যখন আরজি কর-কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে পথে নেমেছে, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে এক আইআইটি পড়ুয়ার গণধর্ষণে অভিযুক্ত দুই বিজেপি আইটি সেল সদস্য জামিনে মুক্তি পেলেন। এমনও নয় যে, অপরাধ সংগঠিত করার পর তাঁদের দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধরা পড়ার সাত মাসের মধ্যেই জামিন মঞ্জুর হয়েছে অভিষেক চৌহান এবং কুণাল পাণ্ডের। অভিযোগ, জেল থেকে বেরনোর পর তাঁদের রীতিমতো ফুল-মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। বিজেপি অবশ্য এ কথা মানতে চায়নি। জামিনে মুক্তির পর অভিযুক্তদের সত্যিই স্বাগত জানানো হয়েছে কি না তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। কিন্তু কোনও ধন্দ নেই তাদের জামিনে মুক্তির খবরে। যা নিয়ে নারী নিরাপত্তা এবং নারী সম্মানের প্রশ্নে বিরোধীদের নিশানায় চলে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। প্রশ্ন উঠছে বিজেপির দ্বিচারিতা নিয়ে। তাঁদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি আর জি করের ঘটনাকে সামনে রেখে ফায়দা তুলে চাইছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে খোদ প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রেই যোগী সরকারের নরম মনোভাবের ফলে ধর্ষণে অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যাচ্ছে।