দোলের ছুটিতে ঘুরতে যেতে চান? ছবি: সংগৃহীত
দোলযাত্রা এমন এক উৎসব যা জমিয়ে উপভোগ করতে চান সকলেই। অনেকেই চান এই সময়ে বাইরে কোথাও বেরিয়ে পড়তে। পশ্চিমবঙ্গেও এমন কিছু স্থান রয়েছে যেগুলি দোল উৎসব পালনের জন্য হয়ে উঠতে পারে আদর্শ। ছুটি যতই ছোট হোক, অনেকেই এই স্থানগুলি ঘুরে দেখতে চান দোলের সময়।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
শান্তিনিকেতন
শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব বাঙালির কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের আয়োজনের পদ্ধতি একেবারেই মৌলিক। পূর্বরাত্রিতে বৈতালিক হয়। পর দিন সকালে ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এত দিন পর্যন্ত সন্ধ্যায় গৌড় প্রাঙ্গণে রবীন্দ্রনাথের নাটক অভিনীত হত। তবে বর্তমানে উৎসবের স্থান নিয়ে কিছু বিতর্ক চলছে।
নবদ্বীপ ও মায়াপুর
চৈতন্য মহাপ্রভু ও রাধা-কৃষ্ণের পুজোকে কেন্দ্র করে নবদ্বীপেও দোলযাত্রার উৎসব হয় বেশ বড় করে। দোলের সময় ১৫ দিন ধরে গৌড়ীয় মঠে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়। দেশ-বিদেশ থেকে বহু দর্শনার্থী এই সময়ে নবদ্বীপে আসেন। একই ভাবে মায়াপুরে ইসকন মন্দিরেও আয়োজিত হয় দোল পূর্ণিমার উৎসব।
বিষ্ণুপুর
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরেও বেশ বড় করে দোলপূর্ণিমা পালিত হয়। এখানকার মদনমোহন মন্দিরটি অত্যন্ত সুপরিচিত। সপ্তদশ শতকের শুরুতে নির্মিত এই মন্দিরে সারা বছরই কৃষ্ণের পুজো করা হয়। দোলযাত্রার সময়ে স্বাভাবিক ভাবেই তা অন্য মাত্রায় পৌঁছায়। এখানে রং খেলায় কোনও রকম কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয় না।
নিমডিহি
নিমডিহি পুরুলিয়া সীমান্তে অবস্থিত একটি গ্রাম। শুধু দোলের সময়ই নয়, গোটা বসন্তকালেই এখানে বিশেষ লোক উৎসব আয়োজিত হয়। দোলের দিন হয় রং খেলার আয়োজন। রং খেলা ছাড়াও স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই সময় এখানে নাচ গানের আয়োজন করে থাকেন।