‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবির দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের কাছে একক ভ্রমণ ভীষণ প্রিয়। দুর্গম কোনও পথের উদ্দেশে কাঁধে ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়া তাঁদের অন্যতম শখ। বন্ধুবান্ধবদের একা ট্রেকিং করতে যেতে দেখে আপনারও ইচ্ছে হয়েছে?
ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে ট্রেকিংয়ের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। রোমাঞ্চের খোঁজে প্রতি বছরই বহু মানুষ ছুটে যাচ্ছেন দুর্গম বিভিন্ন পাহাড়ি পথে। তবে যাঁরা আগে কোনও দিনও ট্রেকে যাননি তাঁদের পক্ষে প্রথম ট্রেকটি স্বাভাবিক ভাবেই একটু বেশি কঠিন মনে হতে পারে। তাই প্রথম বার ট্রেকে যেতে চাইলে সহজ কিছু পথ নির্বাচন করাই শ্রেয়। রইল ট্রেকিংয়ের জন্য এমন তিনটি জায়গার হদিস।
কেদারকণ্ঠ ট্রেক
উচ্চতা: ১২৫০০ ফুট
সময়: ৬ দিন
ভ্রমণের জন্য সেরা সময়: ডিসেম্বর থেকে জুন
কেদারকণ্ঠে ট্রেক করতে গেলে সেখানকার সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। উত্তরাখণ্ডের এই ট্রেকটির পথে দেখতে পাবেন হিমালয়ের অবিশ্বাস্য রূপ। অথচ খুব ট্রেকটি কসরত করতে হবে না আপনাকে। দেহরাদুন থেকে ৭ ঘণ্টা দূরে রয়েছে সাঙ্করি গ্রাম, সেখান থেকেই সাধারণত শুরু হয় ট্রেকটি। বসন্তে গেলে পাইন বন ও বুনো ফুলের গন্ধে ম-ম করবে পথ। আর শীতে গেলে চারপাশ আপাদমস্তক ঢাকা থাকবে বরফে।
হাম্পতা পাস ট্রেক
উচ্চতা: ১৪১০০ ফুট
সময়কাল: ৪-৫ দিন
ভ্রমণের আদর্শ সময়: জুন থেকে সেপ্টেম্বর
প্রথম বার ট্রেকিংয়ে গেলে হাম্পতা পাস ট্রেক আপনার জন্য আদর্শ! সহজ চড়াইয়ের এই ট্রেকে গেলে পথে আপনি দেখতে পাবেন লাহৌল এবং কুল্লু উপত্যকা অপরূপ সৌন্দর্য। আঁকাবাঁকা পথ পেরোনোর সময় চোখে পড়বে আলপাইন বন ও হিমবাহের দৃশ্য। হাম্পতা পাস ট্রেক সেরে ঘুরে আসতে পারেন চন্দ্রতাল। রুক্ষ পর্বতের মধ্যে নীল জলরাশির এই হ্রদ মনে করিয়ে দেবে লাদাখের কথা।
ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে ট্রেকিংয়ের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত।
সান্দাকফু ট্রেক
উচ্চতা: ১১৯৪১ ফুট
সময়কাল: ৬ দিন
ভ্রমণের আদর্শ সময়: সারা বছর
কাছেপিঠে কোথাও ট্রেকিং করতে যেতে যান? তা হলে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার সান্দাকফু থাকতে পারে আপনার পছন্দের তালিকায়। ৬ দিনের এই ট্রেকে আপনার পরিচয় হবে কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোটসে এবং মাকালুর সঙ্গে। যে হেতু সারা বছরই এই ট্রেকে যাওয়া যায়, তাই ঋতুভেদে এক এক সময় এক এক রকম সাজে সেজে ওঠে ট্রেকের পথ। এই ট্রেকের পথেই রয়েছে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান। ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকেও। রেড পান্ডার মতো বিরল প্রজাতির পশু ও হরেক রকমের পাখি দেখতে পাওয়া যায় সেই অরণ্যে। পাহাড়ি পথে রডোডেনড্রন এবং ম্যাগনোলিয়াও মন কেড়ে নেবে আপনার।