Sikkim Offbeat

খাড়া পাহাড়ের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে লম্বা বাঁধানো পথ, সেখানে হাঁটতে যাবেন না কি তারেভির!

খাড়া পাহাড়ের মাথায় রেলিং দিয়ে ধাপে ধাপে রাস্তা। উপর থেকে দেখলে মনে হতে পারে চিনের প্রাচীরের ক্ষুদ্র সংস্করণ। তারেভিরের সেই পথে যাবেন কী ভাবে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৪ ১৫:৫৪
Share:

তারেভির, দক্ষিণ সিকিমের ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত।

আকাশটাকে চোখে রেখে মন হারাতে কোথায় যাবেন, তাই নিয়ে ভাবনা! তা হলে বরং প্রিয় মানুষটির হাত ধরে চলে যেতে পারেন তারেভির।

Advertisement

পাইন বন, খাড়া পাহাড় আর সেই পাহাড়ে ধাপে ধাপে রাস্তা গিয়েছে বহু দূর। সেই পথে যদি কারও হাত ধরে হাঁটার বাসনা থাকে, তবে দক্ষিণ সিকিমের স্বল্পচেনা তারেভির হতেই পারে আপনার গন্তব্য। এখনও পাহাড়ি এই গ্রাম ভিড় থেকে অনেক দূরে। জন কোলাহল বর্জিত তারেভিরে সকাল হয় পাখির কুজনে, দিনভর মেঘ-কুয়াশা ছোঁয়াছুয়ি খেলে। আর, তাদের দেখে মাথা দোলায় পাইন বন।

তারেভির কেন আলাদা?

Advertisement

সিকিমের আর পাঁচটা জায়গার চেয়ে তারেভিরের সৌন্দর্য অনেকটাই আলাদা। এখানে রয়েছে বিস্তৃত পার্বত্য পথ। সেই পথের টানেই পর্যটক আসেন এখানে। সেই পথ উপর থেকে দেখলে মনে হবে এ যেন চিনের প্রাচীরের ক্ষুদ্র সংস্করণ। পাহাড়ের প্রায় মাথা দিয়ে একদম শেষ পর্যন্ত চলে গিয়েছে লম্বা পথ। অন্তত ২-৩ কিলোমিটার তো হবেই। সেই পথের একপাশে পাইনের বন। অন্য পাশে ঘন সবুজ ঘাসের চাদর।

এই পথের টানেই তারেভির। ছবি: সংগৃহীত।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তারেভিরের উচ্চতা ১০ হাজার ফুট। এখানের বাঁধানো সিঁড়ির মতো পথ দিয়ে একবারে পাহাড়ের প্রান্তে পৌঁছতে গেলে প্রথমে আসে নামার পালা। দীর্ঘ পাহাড়ি পথের শেষে ধরা দেবে এক রাশ ভাল লাগা। প্রকৃতি যদি সদয় হয়, মেঘ-কুয়াশার চাদর সরে তবে পাহাড়ের উপর থেকে দেখা যাবে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়। দেখা মিলবে তিস্তা-রঙ্গিতের মিলনস্থলেরও।

কী ভাবে যাবেন-দক্ষিণ সিকিমের খুব জনপ্রিয় শৈল শহর নামচি। এনজেপি থেকে নামচির দূরত্ব মোটামুটি ৯২ কিলোমিটার। নামচি থেকে তারেভিরের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। নামচিতে রাত্রিবাস করে, সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে সকালে তারেভির গিয়ে বিকেলের মধ্যেই ফিরে আসা যায়। তারেভিরে কয়েকটি হোম স্টে-ও রয়েছে। সেখানেও আগাম থাকার ব্যবস্থা করে যাওয়া যেকে পারে। এছাড়া সিকিমের অন্য কোনও জায়গা থেকেও গাড়িতে করে তারেভির যেতে পারেন।

তারেভিরের কাছাকাছি একটি গ্রাম সাদাম। তবে তারেভিরে না থাকলে সেখানে দুপুরে খাবার পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। সাদাম বা নামচি থেকেই সে ক্ষেত্রে খাবার নিয়ে যাওয়াটা ভাল হবে।

বেড়ানোর উপযুক্ত সময়-মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে মার্চ ঘোরার জন্য ভাল সময়। ভরা বর্ষায় গেলে বাড়তি সতর্কতা দরকার।

মাথায় রাখুন- তারেভিরে কিন্তু পাহাড়ি পথ যা ধাপে ধাপে উঠেছে ও নেমেছে সেটা ধরে অনেকটা যেতে হয়। তাই বয়স্ক, হাঁটু বা কোমরের ব্যথা থাকলে অসুবিধা হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement