অজানার উদ্দেশে। ছবি: সংগৃহীত।
পশ্চিমবঙ্গের ঘোরার স্থান বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে শান্তিনিকেতন, দিঘা, মন্দারমণির মতো কিছু জায়গার নাম। কিন্তু এই রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তার ব্যস্ত পথের ভিড় ঠেলে অলিগলিতে ঢুকলেই যে রয়েছে কত ইতিহাস, স্থাপত্য, তার খোঁজ কে-ই বা রাখে! অনেকেই আছেন, যাঁরা অজানার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়তে ভালবাসেন। আপনিও কি সেই দলেই পড়েন? তা হলে এই রাজ্যের ৩ স্বল্প চেনা স্থানে ঢুঁ মেরে আসতেই পারেন।
হুগলি জেলার চন্দননগর এখন জনপ্রিয় ঐতিহাসিক ভবন, জগদ্ধাত্রী পুজো, গঙ্গার ঘাট এবং বিখ্যাত জলভরা মিষ্টির জন্য। ছবি: সংগৃহীত।
চন্দননগর: ভারতবর্ষ স্বাধীন হয় ১৯৪৭ সালে। ফরাসি শাসন থেকে চন্দননগর মুক্তিলাভ করে তার পাঁচ বছর পরে। হুগলি জেলার চন্দননগর এখন ঐতিহাসিক ভবন, জগদ্ধাত্রী পুজো, গঙ্গার ঘাট এবং বিখ্যাত জলভরা মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। চন্দননগরের স্থাপত্য, সংস্কৃতি এবং খাবারে ফরাসি প্রভাব এখনও স্পষ্ট। শহরের অনেক ভবন ফরাসি ঔপনিবেশিক শৈলীতে নির্মিত এবং চন্দননগরে বেশ কয়েকটি ফরাসি ভাষার স্কুল এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কলকাতা থেকে মাত্র ৪৪ কিলোমিটার দূরে ১ দিনের জন্য আপনার গন্তব্য হতেই পারে চন্দননগর। এখানে গেলে চন্দননগর জাদুঘর, নন্দদুলালের মন্দির, গঙ্গাবক্ষে চন্দননগর স্ট্যান্ড, পটল বাড়ি, সেক্রেড হার্ট গির্জা কিন্তু ঘুরে আসতেই হবে।
সপ্তাহ শেষে ছুটি কাটাতে যাওয়ার একটি আদর্শ স্থান হাওড়ার গাদিয়াড়া। ছবি: সংগৃহীত।
২) গাদিয়াড়া: সপ্তাহ শেষে ছুটি কাটাতে যাওয়ার একটি আদর্শ স্থান হাওড়ার গাদিয়াড়া। ভাগীরথী, রূপনারায়ণ ও দামোদর তিন নদীর সঙ্গমস্থলে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্র। এক দিকে তিন নদীর সংযোগস্থলের এক অপরূপ শোভা, সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নদীর কিনারায় ঝাঁ-চকচকে বসার জায়গা— নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য আদর্শ। এখান থেকে ইচ্ছে করলেই ঘুরে আসতে পারেন গেওখালি ও মহিষাদল রাজবাড়ি। সড়কপথে কলকাতা থেকে এই স্থানের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। সড়কপথ ছাড়া জলপথেও কলকাতা থেকে নূরপুর হয়ে গাদিয়াড়া জেটিঘাট যেতে পারেন।
বর্ষার উত্তাল সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য দেখতে ঘুরে আসতেই পারেন বগুড়ান জলপাই থেকে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) বগুড়ান জলপাই: সপ্তাহান্তের ছুটিতে সমুদ্রে যাবেন। কিন্তু দিঘা বা মন্দারমণি নয়। বর্ষার উত্তাল সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য দেখতে ঘুরে আসতেই পারেন বগুড়ান জলপাই থেকে। এখানকার শান্ত, নিরিবিলি সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের তেমন ভিড় নেই। এখানে রাত্রিবাস করে কাছাকাছি ঘুরে আসতে পারেন জুনপুট, বাঁকিপুট থেকে। আর সময় থাকলে অবশ্যই কপালকুণ্ডলা মন্দির ঘুরে আসবেন। দিঘাগামী যে কোনও বাসে চড়েই কাঁথি বাস স্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে অটো কিংবা টোটোয় চড়েই পৌঁছে যেতে পারেন বগুড়ান জলপাই। সেখানে রয়েছে ছোট ছোট রিসর্ট। ইচ্ছে করলে রাত্রিবাসও করতে পারেন সেখানে।