৫ এবং ১০ বছরের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় থাকা বা দ্বিতীয় বাসস্থান তৈরির সুযোগ দিচ্ছে সে দেশের সরকার। ফাইল চিত্র।
ইদানীং অনেকেই দেশ ছেড়ে বিদেশে ঘুরতে যান। গত দু’বছরের অতিমারি পরিস্থিতি সামলে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে সব দেশের পর্যটনকেন্দ্র। পরিবারের সঙ্গে ঘোরা তো বটেই, মধুচন্দ্রিমাতেও অনেকের পছন্দ ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ।
৫ এবং ১০ বছরের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় থাকা বা দ্বিতীয় বাসস্থান তৈরির সুযোগ দিচ্ছে সে দেশের সরকার। কিন্তু শর্ত একটাই। আপনার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকা থাকতে হবে। চলতি বছর ক্রিসমাস থেকেই এই নিয়ম বলবৎ হবে বলে সূত্রের খবর। ওই দ্বীপে একটি রিসোর্ট উদ্বোধনে এসে সে দেশের ইমিগ্রেশন দফতরের কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, ‘‘ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতেই বিদেশি নাগরিকদের এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’’
ওই নিয়মাবলির মধ্যে যে সমস্ত দেশের নাগরিকেরা এই সুবিধে পাবেন, তাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। রয়েছে কোস্টারিকা থেকে মেক্সিকোর নাম। বিত্তশালী অবসরপ্রাপ্ত মানুষ এবং কমবয়সি পেশাদারদের প্রলোভিত করতেই এই ব্যবস্থা। অতিমারি পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন সংস্থা তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। বলতে গেলে বাড়ি থেকে কাজ করা এই প্রজন্মের ‘ট্রেন্ড’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে অন্তর্জালের মাধ্যমে যে কোনও দেশের অফিসে কাজ পৌঁছে যাচ্ছে। তার জন্য সশরীরে সে দেশে উপস্থিত থাকার প্রয়োজনও পড়ছে না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ইন্দোনেশিয়া সেখানে দ্বিতীয় বাসস্থান গড়ে তোলার সুযোগ করে দিচ্ছে। পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষে এবং বিদেশী মুদ্রা আমদানি বাড়াতে ইন্দোনেশিয়া বিভিন্ন রকম পরিকল্পনার পসরা সাজিয়ে প্রস্তুত।
নভেম্বর মাস থেকেই পর্যটক আসতে শুরু করে বালিতে। এ ছাড়া ওই মাসেই বালিতে আয়োজিত হতে চলেছে ‘জি-২০ সামিট’। পাশাপাশি ‘গারুদা ইন্দোনেশিয়া’ বিমান সংস্থাটিও তাদের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু করবে ওই সময়ে। আশা করাই যায়, ইন্দোনেশিয়ার দুরন্ত এই ভিসার প্রলোভন, অনেকের কাছেই সুবর্ণ সুযোগ হয়ে উঠবে।