হি-পাতাল থেকে অপরূপ তুষারশৃঙ্গ।
ইয়াংসুম
ইয়াংসুম সিকিমের পর্যটন মানচিত্রে এক নবতম ও উল্লেখযোগ্য সংযোজন। কিছুদিনের মধ্যেই যে এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হবে, সেটা বোধহয় এখনই বলে দেওয়া যায়। ৪৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ইয়াংসুম অচেনা সিকিমের এক অপূর্ব গ্রাম্য ছবি তুলে ধরে পর্যটকদের কাছে। সৌন্দর্যমণ্ডিত সেই ছোট্ট গ্রামে দূষণ নেই, কোলাহল নেই, ব্যস্ততা নেই, আছে শুধু অপার শান্তি। সুখানুভূতি আর প্রাণভরে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য দেদার অক্সিজেন। আর হ্যাঁ, অবশ্যই আছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গের নজরকাড়া রূপ।
সারা গ্রাম জুড়ে চাষাবাদ হয় বিস্তর। কমলা, মটর, আদা, এলাচ, লঙ্কার চাষ প্রচুর পরিমাণেই হয়।গাছপালা, খেত, চারণভূমি, উপত্যকা— এই সবকিছু মিলিয়ে যে অন্তহীন সবুজ রঙের চিত্রণ গোটা নিসর্গের ক্যানভাসে, তা শুধু যে চোখই জুড়োবে তা নয়, মনকেও করবে আহ্লাদিত। হোমস্টে সন্নিহিত বাগানে আছে ‘গ্রিন হাউস’। সেখানে চাষ হয়েছে ট্রি-টম্যাটো ও আরও অন্যান্য সব্জি। গ্রামের মধ্য দিয়েই, রঙবাহারি ছোট ছোট বাড়িঘরের পাশ দিয়েই চলে গেছে পায়ে চলা পথ। সেই পথ ধরে, চারপাশের সৌন্দর্য নিরীক্ষণ করতে করতে, কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন এক অসাধারণ রোম্যান্টিক উদ্যানে, যার স্থানীয় নাম ‘মানেদাঁড়া স্মৃতিবন’। সবুজ মখমলি ঘাসের কার্পেটে মোড়া উদ্যানটি পাহাড়ের ধাপে ধাপে বেশ খানিকটা অংশ জুড়েই বিস্তৃত। বিভিন্ন ধরনের ফুলের শোভা মুগ্ধ করবে অচিরেই।
আর, মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে যদি আসেন তবে অতিরিক্ত আকর্ষণ হয়ে উঠবে রডোডেনড্রনের রক্তিম প্লাবন। অসংখ্য রডোডেনড্রন গাছে ফুটে থাকা থোকা থোকা লাল, গোলাপী রঙের ফুলের শোভা আনন্দে উদ্বেল করবে পর্যটককে। তবে ভুলেও যেন গাছ থেকে ফুল ছিঁড়বেন না, আইনিমতেই দণ্ড জুটতে পারে কপালে। সুন্দর একটি ভিউ-পয়েন্ট আছে উদ্যানটিতে, যেখান থেকে বহুদূরের দৃশ্যও চোখে পড়ে।পেমিয়াংসি গুম্ফা, বার্মিওক, লেগশিপ, গেজিং ইত্যাদি অনেক জায়গাই নজরে পড়ে উন্মুক্ত ও অবারিত পরিবেশে। খাঁটি মধু, রডোডেনড্রন-জাত পানীয় মেলে গ্রামের কিছু ঘরে। ইচ্ছে হলে সংগ্রহ করতে পারেন। হোমস্টে ও গ্রামের মানুষজনের উষ্ণ আন্তরিকতা এবং আতিথেয়তা স্মরণীয় করে রাখবে ইয়াংসুম ভ্রমণ।
ইয়াংসুম গ্রাম।
যাত্রাপথ
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ইয়াংসুমের দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার। পুরো গাড়ি রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে ৩৫০০ টাকা। কম খরচে আসতে চাইলে শিলিগুড়ি থেকে শেয়ার জিপ বা বাসে জোরথাং, জোরথাং থেকে অন্য শেয়ার জিপ ধরে রিনচেনপং নেমে, সেখান থেকে গাড়িভাড়া করে পৌঁছে যান ২ কিলোমিটার দূরবর্তী ইয়াংসুম গ্রামে।
মানেদাঁড়া উদ্যানে রডোডেনড্রন গাছের ফুল।
আরও পড়ুন: চলুন সিকিমের অজানা গন্তব্যে
রাত্রিবাস
সুন্দর অবস্থানে রয়েছে ‘মায়েল প্যারাডাইস হোমস্টে’। যোগাযোগ: ৯৫৯৩৭৮৩৩৩৭, ৯৬০৯২২৯১৯২
প্রতিদিন মাথাপিছু খরচ (থাকা-খাওয়া নিয়ে) ১০০০ টাকা।
হি-পাতাল থেকে রাজকীয় কাঞ্চনজঙ্ঘা।
হি-পাতাল
পশ্চিম সিকিমের হি-বার্মিওক অঞ্চলে হি গ্রামের থেকে যে চড়াই রাস্তা আলাদা হয়েছে ছায়াতাল যাওয়ার, সেই রাস্তা ধরে ছায়াতালকে পাশে রেখে উঠে আসতে হবে পাহাড়শীর্ষে।প্রায় ৭০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হি-পাতালের অবস্থান এখানেই। শুধু পাতাল নামটাই কেন জানিনা খাপ খায়না এ জায়গার উচ্চতা ও অবস্থানের সঙ্গে।
সারাদিনে হয়তো হাতেগোনা খানকয়েক গাড়ির আগমন ঘটে। কোলাহলবর্জিত নির্জন পরিবেশে শব্দ বলতে শুধু বিভিন্ন ধরনের পাখির সুমিষ্ট আওয়াজ। কত যে বিচিত্ররঙা পাখি দেখা যায় এখানে, তার ঠিক বর্ণনা দেওয়াই মুশকিল। পক্ষীপ্রেমীদের কাছেও এই হি-পাতাল এক আদর্শ জায়গা। অনবদ্য তুষারশৃঙ্গশ্রেণিও নজর কাড়বে এখান থেকে। কাঞ্চনজঙ্ঘা, কাবরু, রাথং, পান্ডিম সমেত এক বিস্তৃত তুষারশৃঙ্গশ্রেণির চমৎকার দৃশ্য মুগ্ধ করবে পর্যটককে।
পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে পারেন এদিক-সেদিক। রকমারি ফুল, অর্কিড, ফার্নের মেলা দেখবেন চারপাশে। গ্রামের মধ্য দিয়েই পায়ে হাঁটা চড়াই পথ বেয়ে উঠে আসুন বেশ খানিকটা উপরে গুম্ফা দর্শনে। গুম্ফাটি ছোট, কিন্তু পরিবেশটি সুন্দর। এখান থেকেও তুষারাচ্ছাদিত হিমালয়ের শোভা অতীব সুন্দর। আবার অন্যদিকে পায়ে হেঁটেই ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে চলে যেতে পারেন ‘রেড পন্ডা গেট’ পর্যন্ত। বার্সে রডোডেনড্রন স্যাঙ্কচুয়ারির এ প্রান্তের প্রবেশপথ এটাই। অত্যুৎসাহীরা এখান থেকে ৭-৮ ঘণ্টার ট্রেকিংয়ে পৌঁছে যেতে পারেন বার্সে। তবে অত্যন্ত দুর্গম, গভীর জঙ্গলের সেই রাস্তায় যেতে গেলে পথপ্রদর্শক বা গাইড থাকা একান্তই জরুরি। তেমনই হাঁটাপথে (গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায়) দেখে নিতে পারেন সদ্যনির্মিত সিরিজঙ্ঘা (ধর্মীয় গুরু) মূর্তি। বিশালাকার এই মূর্তিটি সত্যিই দেখার মতো। ছায়াতাল এখান থেকে খুবই কাছে। ছোট্ট এই সরোবরটির পাড়ে বসে নিভৃতে কাটাতে পারেন বেশ কিছু সময়। বাতাস যখন ছায়াতালের জলে আল্পনা আঁকে, তখন সেই সুষমার জুড়ি মেলা ভার।
ছায়াতাল।
যাত্রাপথ
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে হি-পাতালের দূরত্ব ১৫১ কিলোমিটার। পুরো গাড়ি রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে ৪৫০০ টাকা। কম খরচে আসতে চাইলে শিলিগুড়ি এসএনটি বাসস্ট্যান্ড থেকে শেয়ার জিপে (মাথাপিছু ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা) বা বাসে জোরথাং, জোরথাং থেকে অন্য শেয়ার জিপ ধরে পৌঁছে যান হি-পাতাল (বেলা ১২টা থেকে ২টোর মধ্যে ছাড়ে, মাথাপিছু ভাড়া ১৫০-২০০টাকা)। জোরথাং থেকে পুরো গাড়ি রিজার্ভ করে ৭২ কিলোমিটার দূরবর্তী হি-পাতালে যাওয়ার খরচ পড়বে ২৫০০-৩০০০ টাকা।পেলিং থেকে হি-পাতালের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার, গ্যাংটক থেকে দূরত্ব ১১২ কিলোমিটার।
রাত্রিবাস
(১)সুন্দর অবস্থানে রয়েছে ‘নেচার হিলটপ রিসর্ট’। দ্বিশয্যা কটেজের ভাড়া ৩০০০ টাকা, আর ত্রিশয্যাযুক্তডিলাক্স কটেজের ভাড়া ৫০০০ টাকা। যোগাযোগ:৯৯৩২৫১১৫২৬, ৯৫৬৪৬১৬৯৩৫
(২)কিছুটা নীচে, ছায়াতাল অভিমুখে রয়েছে আর একটি থাকার জায়গা, ‘লেকভিউ রেসিডেন্সি’। দ্বিশয্যা ঘরের ভাড়া ১৫০০-২০০০ টাকা, ত্রিশয্যাঘরের ভাড়া ২৫০০ টাকা। যোগাযোগ: ৭৭৯৭০০৭০০০, ৯০৯৩২০০৬০১
বার্সের পথে।
বার্সে
বার্সে রডোডেনড্রন স্যাঙ্কচুয়ারির অন্তর্গত বার্সে পৌঁছতে হবে পদব্রজে। হিলে অবধি গাড়ি যায়। সেখান থেকে মনোরম হাঁটাপথে (সাড়ে চার কিলোমিটার) দেড় থেকে দু’ঘণ্টায় পৌঁছে যান বার্সে। উচ্চতা ১০,০০০ ফুট। পুরো হাঁটার রাস্তাটাই গেছে ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে। চেস্টনাট, ওক, ম্যাপ্ল, ফার, বাঁশ ইত্যাদি নানান রকমের গাছ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির রডোডেনড্রন, অর্কিড ইত্যাদিও সমৃদ্ধ করেছে হেঁটে যাওয়ার পথটিকে। মার্চ-এপ্রিল মাসে এলে দেখতে পাবেন বিভিন্ন রঙের রডোডেনড্রনের অপূর্ব দৃশ্য পুরো পথ জুড়েই।
নানান ধরনের পাখির দেখা যেমন পাবেন, তেমনই ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলেবিরল প্রজাতির রেড পন্ডার দেখাও হঠাৎ করেই পেয়ে যেতে পারেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ এক বিস্তৃত তুষারশ্রেণির মনোরম দৃশ্য চোখে পড়বে বার্সে ট্রেকার্স হাটের সামনে থেকে। বার্সে থেকেই একটা হাঁটাপথ যেমন চলে গেছে হি-পাতালের দিকে, তেমনই অন্য হাঁটাপথ ধরে চলে যাওয়া যায় সিঙ্গালিলা রেঞ্জের দিকে।
রাঙা মৌটুসি।
যাত্রাপথ
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে হিলের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। পুরো গাড়ি রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে ৫০০০ টাকা। কম খরচে আসতে চাইলে শেয়ার জিপে জোরথাং এসে, জোরথাং থেকে গাড়িভাড়া করে সোমবারিয়া, ওখরে হয়ে পৌঁছে যান হিলে। তারপর সেখান থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার পথ হেঁটে পৌঁছতে হবে বার্সে।
তবে বার্সেতে রাত্রিবাসের জায়গা খুবই কম ও রাত্রিবাস করাটাও কিছুটা অসুবিধার বলে অনেক পর্যটকই হিলের ১০ কিলোমিটার আগে ওখরে (এনজেপি থেকে দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার) গ্রামে রাত্রিবাস করে, পরদিন দিনেদিনে বার্সে ঘুরে আবার ফিরে আসেন ওখরে, কিংবা দ্বিতীয় রাত্রি আর ওখরে না থেকে চলে যান সিকিমের অন্য কোনও গন্তব্যে।নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ওখরে পর্যন্ত পুরো গাড়ি রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে ৪০০০-৪৫০০ টাকা। ওখরে থেকে হিলে যাওয়ার গাড়িভাড়া (পুরো গাড়ির) পড়বে ৬০০ টাকা।
বার্সে রডোডেনড্রন স্যাঙ্কচুয়ারি।
আরও পড়ুন: সিকিমে রেশমপথের আড়ালে নিভৃত অবকাশযাপন
রাত্রিবাস
বার্সেতে রাত্রিবাসের জন্য আছে:
(১)‘গুরাস কুঞ্জ’: একটিমাত্র দ্বিশয্যাঘরে (লাগোয়া বাথরুম সমেত) প্রতিদিন থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু খরচ ১৫০০ টাকা। ডর্মিটরি বা চারশয্যার ঘরে (কমন বাথরুম) প্রতিদিন থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু খরচ ১০০০ টাকা।
যোগাযোগ: পাসাং দোর্জি শেরপা: ৯৫৯৩৮৩৪৬২৭, ৮৪৩৬৪৩৬২৬৭
(২)‘ফরেস্ট ব্যারাক’: একটিমাত্র দ্বিশয্যাঘর আছে, যেখানে প্রতিদিন থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু খরচ ১২০০ টাকা। ডর্মিটরিতে প্রতিদিন থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু খরচ ৯০০-১০০০ টাকা। যোগাযোগ: ৯৭৩৩০৬৫৯৩৭
বার্সেতে যাঁরা রাত্রিবাস করতে চাইবেন তাঁদের কয়েকটা তথ্যমাথায় রাখা জরুরি:
(১)স্যাঙ্কচুয়ারির মধ্যে অবস্থিত বলে সোলার সেলের মাধ্যমেই মেলে বিদ্যুৎ, তা-ও সেটা দিনের সবসময় নয়। ক্যামেরা কিংবা মোবাইলের ব্যাটারি চার্জ করাটা কিছুটা সমস্যাজনক হয়ে পড়ে।
(২)উচ্চতা বেশি হওয়ায় শীতকালে তো বটেই, এমনি সময়েও হঠাৎ বৃষ্টির পর বার্সের তাপমাত্রা কিন্তু নেমে যেতে পারে অনেকটাই। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র সঙ্গে রাখাটা জরুরি।
(৩)লাগোয়া বাথরুম-সহ দ্বিশয্যাঘরের সংখ্যা মোট দুই। তাই যাঁরা বেশ কয়েকটি পরিবার মিলে বেড়াতে যাচ্ছেন এবং লাগোয়া বাথরুম-সহ দ্বিশয্যাঘরের বন্দোবস্তই চাইছেন সবার জন্য, সেক্ষেত্রে কিন্তু বার্সেতে রাত্রিবাস করা সম্ভব হবে না।একারণে অনেক পর্যটকই ওখরে গ্রামে রাত্রিবাস করে বার্সে ঘুরে আসাটাই পছন্দ করেন।
ওখরে গ্রামে রাত্রিবাসের জন্য আছে
(ক) ‘সালাখা হোমস্টে’: দ্বিশয্যা ও চারশয্যাঘরে প্রতিদিন থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু খরচ ৮০০-৯০০ টাকা। যোগাযোগ: জ্ঞানু রাই ৭৮৭২১৩২১৮৩, ৭৪৩১৮১২০৯২
(খ)‘বার্সে রেসিডেন্সি’: দ্বিশয্যা ও চারশয্যাঘরে প্রতিদিন থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু খরচ ১০০০-১২০০ টাকা। ডর্মিটরি ও টেন্টে প্রতিদিন থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু খরচ ১০০০ টাকা। যোগাযোগ: ফিপ রাজ সুব্বা ৯৭৩৩২৭১১৩৭
জরুরি তথ্য
(১) সিকিমের যেকোনও জায়গায় ঘোরার জন্য গাড়ি, হোটেল, হোমস্টে কিংবা প্যাকেজ বুকিং-এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:
নারায়ণ প্রধান৮৪৩৬৬৪৯০০১, ৮৩৪৮৮১৩৮৪৫
(২) সিকিম সফর সংক্রান্ত যেকোনও তথ্যের ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন:
এমকেপ্রধান (জয়েন্ট ডিরেক্টর, সিকিম ট্যুরিজম, গ্যাংটক) ৮১১৬১০৭০৭১, ৯৮৩২০৬৫৬১৭
ছবি: লেখক
(লেখক পরিচিতি: ভ্রমণ সংক্রান্ত লেখালেখি বছর কুড়ি। পেশা ভিন্ন হলেও ভ্রমণের টানে গোটা ভারত ঘুরে বেড়ান বছরভর। পছন্দের দিক থেকে পাল্লা ভারী পাহাড়ের। ভ্রমণ ছাড়াও প্যাশন রয়েছে অভিনয়ে। অভিনয় করছেন বড় পর্দা, ছোট পর্দা, মঞ্চ, বেতার— সব মাধ্যমেই।)